মার্চ এবং এপ্রিল, চাকরির বাজারে এই দুই মাস ভয়ঙ্কর গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু করোনার গ্রাসে মন্দা শুরু হয়েছে চাকরি ক্ষেত্রেও। সারা বিশ্বে যেভাবে শুরু হয়েছে করোনার দাপট সেখানে ইতিমধ্যেই দুর্যোগের মেঘ দেখা দিয়েছে সেখানে। সেই পরিস্থিতিতে অনেক সংস্থাই আপাতত স্থগিত রেখেছে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেক সংস্থায় সাময়িকভাবে কাটছাঁট করা হয়েছে বেতন।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন হয়েছে গোটা দেশে। মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই সংস্থার এইআররা তাঁদের পলিসিতে বেশ কিছু বদল এনেছেন। যেমন ওয়ার্ক ফ্রম হোম। লকডাউনে বাড়িতে বসেই কাজ সারতে হচ্ছে সমস্ত কর্মীদের। সেই কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
নিয়োগ করা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি বিশেষ ক্ষেত্রে
করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বেশিরভাগ সংস্থার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। সেই প্রেক্ষিতে চাকরির জায়গায় কমেছে নিয়োগের সংখ্যা। ট্রাভেল, ট্যুরিজম এবং হাসপাতালে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে নিয়োগ। অন্যান্য জায়গায় বন্ধ না হলেও অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে চলছে নিয়োগ। তবে বিশেষ বিশেষ পদে এখন বন্ধ রয়েছে নিয়োগ।
করোনার জেরে অনলাইনে ইন্টারভিউ বড় সংস্থায়
করোনার খবর প্রকাশ্যে আসতে ততক্ষণাৎ তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলি। তবে পরবর্তীতে অনলাইন ইন্টারভিউর মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই চলছে নিয়োগ। এর আগে টেলিফোনে কিংবা ডিজিট্যাল মাধ্যমে ইন্টারভিউ করা হলেও নিয়োগের শেষ ধাপে মুখোমুখি ইন্টারভিউ হত। সেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের দাপটে সেই ট্রেন্ডেও বদল এসেছে।
উপস্থাপনযোগ্য হন, সৃজনশীল হন
চাকরির এই সংকটের বাজারে নিজেকে ভার্চুয়ালি তুলে ধরার ক্ষেত্রে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতেই হবে। বেশ কিছু এইচ আর সংস্থা প্রার্থীদের জন্য কীভাবে নিজেদের উপস্থাপনযোগ্য করবে এবং কথাবার্তা কিংবা সৃজনশীলতা কতটা থাকবে সে বিষয়ে ট্রেনিংয়েরও বন্দোবস্ত করেছে।