কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যানের নিরিখে প্রাক-নির্বাচনী অস্বস্তিতে পড়ল মোদী সরকার। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)-র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেকারির হার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশে। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরের পর থেকে কখনও এতটা বাড়েনি এই হার। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৫.৯ শতাংশ।
লক্ষ্যণীয়, কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা কমা সত্ত্বেও বেড়েছে বেকারির এই হার। সিএমআইই-র শীর্ষ কর্তা মহেশ ব্যাস রয়টার্সকে জানিয়েছেন এই তথ্য। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে কর্মনিযুক্ত মানুষের সংখ্যা ছিল চল্লিশ কোটি। আগের বছরের সমসময়ে সংখ্যাটা ছিল চল্লিশ কোটি ষাট লক্ষ।
এই পরিসংখ্যান ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বহুসংখ্যক বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পাওয়া। কর্মসংস্থান বিষয়ক এই পরিসংখ্যানকে সরকারি তথ্যের থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন অর্থনীতিবিদরা।
আরো পড়ুন: বিশ্ব দরবারে দূষণ সম্রাটের তকমা পেল ভারত
বলাই বাহুল্য, এই পরিসংখ্যান প্রাক-নির্বাচনী আবহে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয় নরেন্দ্র মোদীর কাছে। কৃষিজাত পণ্যের স্বল্প দাম এবং কর্মসংস্থানের হতাশাজনক বৃদ্ধির হার, নির্বাচনী প্রচারে দুটি বিষয়কেই হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা।
অতীতে সরকারের তরফেও বেকারি-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু সেই তথ্য কতটা প্রামাণ্য, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। সম্প্রতি কর্মসংস্থান-বিষয়ক কিছু তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকে সরকার। বলা হয়, তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। ডিসেম্বরের সেই অপ্রকাশিত তথ্য অবশ্য কয়েক সপ্তাহ আগে একটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। যে তথ্য অনুযায়ী, গত অন্তত ৪৫ বছরে ২০১৭-১৮-য় বেকারির হার ছিল সবচেয়ে বেশি।
জানুয়ারিতে প্রকাশিত সিএমআইই-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬-র নোটবন্দির জেরে ২০১৮ সালে এক কোটি দশ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। এই রিপোর্টে আরও প্রকাশ, ২০১৭ সালে চালু হওয়া গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) লক্ষ লক্ষ ছোট ব্যবসায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। গত মাসে সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে জানানো হয়, ছোট ব্যবসার ওপর নোট বাতিলের প্রভাব সংক্রান্ত কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।