সাড়ম্বরে করা হয় ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা (২০১৬-২০) প্রকল্পের অধীনে ৩,০৪৪ কোটি টাকা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে 'কর্মোপযোগী' করে তোলা হবে দেশের যুব সমাজকে। দুটি পর্বে জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে বিভিন্ন ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রে এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ১৯.৫৮ লক্ষ যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খাতাপত্র বলছে, এদের মধ্যে মাত্র ৯.৯ লক্ষ জনই চাকরি পেয়েছেন।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে পাওয়া ডেটা অনুযায়ী, এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৯.৫৮ লক্ষ প্রার্থীকে স্বল্পমেয়াদী কোর্সের ট্রেনিং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৯.৯৯ লক্ষ প্রার্থীকে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ এই প্রকল্পের দেশজোড়া সাফল্যের হার এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৪.৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৩০০০ কর্মী নিয়োগ করবে ভারতীয় নৌসেনা
উল্লেখ্য, বহুসংখ্যক প্রার্থী এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হন কিছু এমন দক্ষতা অর্জন করতে, যা তাঁদের নিজস্ব ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করবে। কিন্তু তাঁরা যা বেতন পাচ্ছেন, তা তাঁদের যোগ্যতার সমতুল্য নয়। 'দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস' সংবাদপত্রের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ন্যাশেনাল স্কিল ডেভলপমেন্ট কমিশনের এমডি তথা সিইও মনীশ কুমার বলেন, "আসল সমস্যা কর্মসংস্থানের নয়, বেতনের।"
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা প্রশিক্ষককে প্রার্থী পিছু ৩,০০০ টাকা করে দেওয়া হয় যদি ৭১-৮৫ শতাংশ প্রার্থী চাকরি পান, এবং ৮৬ শতাংশ প্রার্থী চাকরি পেলে ৫,০০০ টাকা করে। কিন্তু গড়পড়তা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী পিছু বেতন ১৫,০০০ টাকার ওপরে ওঠে না। একটি সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, প্রচলিত ধারণা এই যে একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পকে সফল তখনই বলা যায় যখন তার অধীনে অন্তত ৭০ শতাংশ প্রার্থী রোজগারের উপায় খুঁজে পান, যার মধ্যে আবার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রার্থী স্বনির্ভরতার পথ বেছে নিতে পারেন।
নথি ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের অধীনে চাকরি পাওয়ার হার ছিল আরও কম, মাত্র ১০ শতাংশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ৩০.৬৭ লক্ষ প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাঁদের মধ্যে চাকরির অফার পান ২.৯ লক্ষ জন, যা কিনা ১০ শতাংশও নয়।
Read the full story in English