শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ার সঙ্গে বেকারত্বের হারটা সমানুপাতিক এই দেশে। এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। সম্প্রতি এমনই তথ্য এসেছে সংসদে। যাদের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা রয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে এদের মধ্যেই বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম। তবে এদের মধ্যেও ২০১১-১২ থেকে ০৩ শতাংশ বেকারত্বের হার থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ তে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হয়েছে।
২০১৭-১৮ সালে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি বেকার থেকেছেন স্নাতকোত্তর পাশ করা যুবক যুবতী। বরং শিক্ষাগত যোগ্যতা যাদের কম, কর্ম সংস্থানে তাঁরাই এগিয়ে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই বিভাজন আরও সুস্পষ্ট। গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলের স্নাতকোত্তর পাশ মহিলাদের বেকারত্বের হার যথাক্রমে ৩৬৮ শতাংশ এবং ১৯৫ শতাংশ। শহরের স্নাতকোত্তর পুরুষের বেকারত্বের হার ৮৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোর সম্প্রতি এই তথ্য লিখিত ভাবে জানিয়েছেন লোকসভাকে। তথ্যের ভিত্তিতে বলাই যায়, নারী পুরুষ নির্বিশেষে বেকারত্বের হার বেড়েছে। তবে যারা উচ্চ শিক্ষিত, তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির প্রবণতাটি বেশ আশঙ্কাজনক।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে ২,৮৫,৯৬,৭৫১ লক্ষ পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছে, এদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পেয়েছে ৩৯,৭৫,২৮৬ জন, এম ফিল করেছে ৩০,৬৯২ জন, পিএইচডি করেছে ১,৬৯,১৭০ জন।