/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/feature-1.jpg)
চার বছর পর ফের শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের 'টেট' পরীক্ষা। আগামী ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড (ডাব্লুবিবিপিই) ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যে খোলা হবে রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল।
রাজ্য সরকার ২৮ শে অক্টোবর, পরীক্ষার দিন ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডব্লিউবিবিইয়ের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেছেন, “গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে”। ২০১৩ সালে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রার্থী ডাব্লুবিটিইটি-র জন্য আবেদন করেছিলেন।
টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি অক্টোবরেই প্রকাশ করা হয়েছিল কিন্তু শূন্যপদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি রাজ্য সরকার।রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা মূলত ছুটির দিনে চাকরীর পরীক্ষা দিন নির্ধারণ করব"।
২০১৫ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষক নিয়োগের জন্য যথাযথ যোগ্যতার নিয়মাবলির সংশোধন করেছিল। যার ফলে টেট ২০১৫ সালে ৮৫,০০০ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রাথমিক শিক্ষকের ন্যূনতম ডিপ্লোমা (D.El.Ed) থাকতে হবে। সেবছর পরীক্ষায় পাশ করলেও প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রেনিং বা কোনো কোর্স না থাকার কারণে বহু প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। ৪০,০০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল সেবছর।
যে সকল প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষকের পদে আবেদন করতে চান তাদের কাছে উচ্চমাধ্যমিক পাসের শংসাপত্র থাকতে হবে একইসঙ্গে দু-বছরের ডিপ্লোমা সহ কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর রাখতে হবে। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হবে।
Read the full story in English