কলকাতায় করোনার বেহাল অবস্থা। রবিবারই আক্রান্তের হার ছিল ৩ হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে কনটেনমেন্ট জোন গড়ে সংক্রমণে লাগাম পরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে, কোনও এলাকা বা আবাসনে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেই তা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়বে। এই হিসাবেই তিলোত্তমায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি কনটেনমেন্ট জোন-ও।
এ দিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাকিম জানিয়েছেন যে, কোনও বড় আবাসনে ৪-৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেই সেটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে পুরসভার বোরো ৭, ৮, ৯ ও ১০-এ সর্বাধিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে।
করোনার বাড়বাড়ন্ত হতেই একটি সেফ হোম চালুর কথা বলেছিল পুরসভা। মঙ্গলবার থেকে আরও ৩টি চালু হচ্ছে। এগুলি হল- হরিকৃষ্ণ শেঠ লেন (৫০ শয্যা), প্রতিদিন হাউস (২০০ শয্যা) ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম (১০০ শয্যার )।
সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। মেয়রের কথায়, কলকাতার জনবহুল অঞ্চল, বাজার এলাকায় দিনে কয়েকবার করে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হবে পুরসভার তরফে। ১ লক্ষ মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। আরও ৬ লক্ষ মাস্ক বিতরণ হবে। বাজারগুলিতে সচেতনতা প্রচার চলবে। কোনও বিক্রেতা বা ক্রেতা মাস্ক না পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
মেয়রের দাবি, বস্তি বা মধ্যবিত্তের তুলনায় বড় আবাসন, ফ্ল্যাট এবং উচ্চবিত্তদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি।