মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কুঁদঘাটে প্রাণ কাড়ল ৪ ঠিকা শ্রমিকের। নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে নেমে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এই দুর্ঘটনা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানা গিয়েছে, কুঁদঘাটের পূর্ব পুটিয়ারির ঐক্যতান ক্লাবের পাম্পঘর সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মোট ৭ জন কেআইটির শ্রমিক নালা পরিষ্কার করতে নীচে নামেন। অনেকক্ষণ তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই থানায় খবর দেন। থানা থেকে খবর যায় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তারা ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে থাকার পর বেলা ১২টা নাগাদ ৭ শ্রমিকেই উদ্ধার করেন তাঁরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে এঁদের মধ্যে ৪ জন শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রথমে ৭ জনকে বাঘাযতীন ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দু’জনের অবস্থা খারাপ হলে ওই ২ জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মৃত ৪ জনের মধ্যে ২ জন বাঘাযতীন এবং ২ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাকি ৩ জনের চিকিৎসা চলছে বাঘাযতীন হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ৪ শ্রমিকের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এঁদের নাম জাহাঙ্গির আলম, মহম্মদ আলমগির, লিয়াকত আলি এবং সাবির হোসেন। মৃতদের প্রত্যেকেই মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ম্যানহোলে জলসংযোগের কাজেই নেমেছিলেন তাঁরা। কাদা এবং পলি জমে ওই ম্যানহোল আটকে গিয়েছিল। সেই ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে দীর্ঘক্ষণ কেটে যায় ওই ৭ জনের। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, সে সময় সেখানে হঠাৎ জলের স্রোতে বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। যার জেরে কলকাতা পুরসভার ওই ৪ ঠিকাকর্মী তলিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।
তবে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, এর পিছনে কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, ওই ঠিকাকর্মীদের উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং পোশাক ছিল কি না—এ সব এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘতনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস।