করোনার কোপে একাধিক রেলকর্মী। ট্রেনের চালক-গার্ড সহ কেউ-ই বাদ যাচ্ছেন না সংক্রমণের হাত থেকে। বাতিল হচ্ছে একের পর এক লোকাল ট্রেন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনে। তবে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিষেবা ব্যাহত হবে না। গতকালই ৫০ জন চালক, গার্ড করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ২৯টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। মঙ্গলবার একই পরিস্থিতি হাওড়াতেও। বিভিন্ন শাখায় বাতিল হল মোট ২৮টি ট্রেন।
জানা গিয়েছে, শিয়ালদা-হাওড়া মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৬২৪ জন রেলকর্মী। এঁদের মধ্যে চালক, গার্ড এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মীরাও রয়েছে। শুধুমাত্র শিয়ালদা ডিভিশনেই ১০০ জন চালক ও গার্ড সংক্রমিত। হাওড়া ডিভিশনে ৩৮২ জন রেলকর্মী আক্রান্ত। চালক ও গার্ড আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ জন। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন সব মিলিয়েই আক্রান্ত চালক ও গার্ডরা। পূর্ব রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্টেশনে মাস্ক পরা ও কোভিড বিধি মানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। না হলে জরিমানা করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
পরপর দু’দিন শিয়ালদা ও হাওড়া শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীমহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন গুজবও ছড়াচ্ছে। রেলমন্ত্রক এ নিয়ে টুইটবার্তায় যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছে। টুইটে জানানো হয়েছে, মহামারী পরিস্থিতিতে অযথা গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কানও দেবেন না। প্যাসেঞ্জার ট্রেন কিংবা কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ হচ্ছে না। পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকছে। তবে কনফার্ম টিকিট থাকলে তবেই ট্রেনে ওঠার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, ট্রেনে উঠে মাস্কহীন যাত্রীদের জরিমানা করছেন টিকিট পরীক্ষকরা। রেলের আধিকারিক এবং আরপিএফের আধিকারিকরা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের মুখে মাস্ক রয়েছে কি না তা দেখছেন। না পরলে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। সোমবারই শিয়ালদা ডিভিশনে ১৩ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে। হাওড়া স্টেশনেও অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।