পার্থ পাল: সল্টলেকের দত্তাবাদের বাঘপাড়া সর্বজনীনের পুজোর এবারের ভাবনা ‘দুয়ারে মা।‘ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অনুকরণে সেজে উঠেছে এই প্যান্ডেল। মা দুর্গার আদলে সেজে এক তরুণী দত্তাবাদ বস্তি এলাকায় ঘুরছেন। মুখে মাস্ক পরেই তিনি বিলি করছেন মাস্ক। পাশাপাশি করোনা বিধি মেনেই উৎসব পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন ‘মা দুর্গা’।
Advertisment
এই প্রসঙ্গে ‘দুয়ারে দুর্গা’র দাবি, ‘আমি সবার ঘরে ঘরে যাচ্ছি। মাস্ক পরতে বলছি এবং তাঁরা যখনই মণ্ডপে যাবেন, যেন মাস্ক পরে যান।‘ এই প্রসঙ্গে বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তথা এই ভাবনার অন্যতম রূপকার নির্মল দত্ত বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার প্রকল্পের আদলেই এই দুয়ারে মা প্রকল্প। কোভিড কালে স্থানীয়দের সতর্ক এবং সচেতন করতে এভাবেই আমরা মা-কে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি।‘
উল্লেখ্য, এই নির্মল দত্তই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সূচনায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।কলকাতার এক দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মা লক্ষ্মী নিজেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা নিচ্ছিলেন। এমন অভিনব ঘটনা বিধাননগর পুরনিগমের সেই ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এক তরুণীকে মা লক্ষ্মী সাজিয়ে বসানো হয়েছিল। মা লক্ষ্মীর মতোই ভাণ্ডার হাতে নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা নিচ্ছিলেন তিনি।
সেইসঙ্গে ঘরের লক্ষ্মীদের আশীর্বাদও করেন মা লক্ষ্মী। সেবার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর নির্মল দত্তই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে মহিলারা ফর্ম জমা দেন শিবিরে এসে।
এই বিষয়ে নির্মল দত্ত বলেছিলেন, “ঘরের লক্ষ্মীরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন। তাই ঘরের লক্ষ্মীদের আশীর্বাদ করছেন মা লক্ষ্মী। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি থাকে তাই তাঁরা আশীর্বাদও নিচ্ছেন।”