Advertisment

ইভেন্ট সঞ্চালনার কাজে পাটনা গিয়ে গণধর্ষিত যাদবপুরের তরুণী! অধরা দুই অভিযুক্ত

এক অভিযুক্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বাড়িতেই আছেন। কোথাও যাননি। আমাদের থেকে টাকা হাতাতে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।     

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tribal-woman-gangraped-at-monteswar-one-had-been-detained

প্রতীকী ছবি

Rape in Patna: অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজে পাটনায় গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী। যাদবপুর থানায় এই মর্মেই জিরো এফআইআর দায়ের করেছেন তরুণী। সেই এফআইআর পাটনা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও এখন অভিযুক্তরা অধরা। এমনটাই অভিযোগ নিগৃহীতার। জানা গিয়েছে, একটি ইভেন্ট সংস্থার কর্ণধার এবং অনুষ্ঠান আয়োজকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। কিংস মিডিয়া সংস্থার ওই কর্ণধারের নাম হর্ষ রঞ্জন এবং অনুষ্ঠান আয়োজকের নাম বিক্রান্ত কেজরিওয়াল। তাঁরাই জোর করে তরুণীর হোটেল রুমে ঢুকে প্রথমে মদ্যপান এবং পরে তাঁকে গণধর্ষণ করেন।

Advertisment

পাটনার গান্ধি ময়দান থানায় এই গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হলেও, অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে বিহার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে তরুণীর দাবি, ‘এযাবৎকাল বিহারে আমি কোনও অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজে যায়নি। করোনাকালে এটাই প্রথম অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজ ছিল। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কিংস মিডিয়া সংস্থার দুই কর্ণধার হর্ষ রঞ্জন এবং তাঁর স্ত্রী শালিনী শুক্লা। ৩০ জুন প্রথমে মুজফফরপুরে একটি অনুষ্ঠান এবং ১ ও ২ জুলাই পাটনার এক অভিজাত হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করি আমি। এর আগে প্রতিবার শহরের বাইরে কোনও ইভেন্টের কাজ হলে আমার সঙ্গে স্বামী থাকেন। কিন্তু এইবার আমি একাই গিয়েছিলাম।‘

তাঁর দাবি,  ‘৩ জুলাই আমাকে পেমেন্ট দেওয়ার অছিলায় ৫১২ নম্বর রুমে আসেন হর্ষ রঞ্জন। তারপরে ডেকে পাঠানো হয় বিক্রান্তকে। দুজনে রুমে ঢুকেই মদ্যপান শুরু করলে আমি আপত্তি জানাই। সেই রাগেই আমাকে গণধর্ষণ করেন ওরা। সম্ভ্রম বাঁচাতে আমি ওদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করি এবং হাত জোর করি। তাতে কাজ হয় না। বরং প্রমাণ লোপাটে আমাকে টেনে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে বাথটাবের জলে ফেলে দেওয়া হয়। এরপরেই আমাকে একটা গাড়িতে তুলে পাটনা স্টেশন থেকে ট্রেনে চাপিয়ে কলকাতা ফেরত পাঠায়। গাড়িতেই আমাকে জোর করে গর্ভনিরোধক বড়ি খাইয়ে হুমকি দেয় ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।‘ এই অবস্থায় কোনওভাবে কলকাতায় ফিরে আমি যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করি। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান ওই তরুণী।

তিনি জানান, ‘যাদবপুর থানা আমার অভিযোগ জিরো এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে পাটনা পুলিশকে পাঠায়। এরপর আমি পাটনা পুলিশকে যোগাযোগ করলে তারা জানায় তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা অধরা।‘ যদিও পাটনা পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের কর্মীদের বয়ান রেকর্ড হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে এবং কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা বের করা হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনায় এক অভিযুক্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বাড়িতেই আছেন। কোথাও যাননি। আমাদের থেকে টাকা হাতাতে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।     

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata police Gangrape
Advertisment