Kabul Today: শাসক নয় সেবক হতে চায় তালিবানরা। আফগানিস্তান পুনর্দখলের পর তাদের হাবভাব খানিকটা এমন। তালিবানি সাম্প্রতিক কয়েকটি ফতোয়া বিশ্লেষণ করে এই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই ফতোয়ার মধ্যে অন্যতম নারী স্বাধীনতা নিয়ে তাদের নয়া ফরমান। তালিবান মুখপাত্র বলেছে, ‘বোরখা নয় বাড়ির বাইরে মহিলাদের হিজাব আবশ্যিক।‘ বাইরের কাজ, স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি কাজ, সবেতেই এই পোশাক মহিলাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছে তালিবানরা।
আবার সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সশস্ত্র তালিবানি বলেছেন, 'ইসলামিক হিজাব পরে মহিলারা শিক্ষাগ্রহণ চালিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে কারণ তেমনটাই ইসলামে বলা।‘ এবার হিজাব এবং বোরখার মধ্যে একটি পার্থক্য আছে। তাই দুই ধরণের পোশাক ফতোয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। এবার সেই বিভ্রান্তি দূর করলেন তরুণী উদ্যোগপতি সেলিনা আহমেদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের জন্য ধরা কলমে কী লিখলেন তিনি?
হিজাব শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হেডগিয়ার বা উষ্ণীষ| তাতে মুখের অংশ খোলাই থাকে| আবার বোরখা পোশাকে মুখ-সহ সমগ্র শরীর কাপড়ে ঢাকা থাকে| শুধু চোখের জায়গাটি অল্প খোলা থাকে| এখানে তালিবান বলতে চাইছে, এখন থেকে আফগান মহিলারা হিজাব পড়লেও তাতে যেন মুখ ঢাকা থাকে। কারণ তাহা ইসলামে উল্লেখ। কাজে কিংবা পড়াশোনায় অংশ নিতে পারবেন মহিলারা। সামাজিক কাজেও যোগ দিতে পারবেন কিন্তু ইসলামিক রীতি মেনে।
আরও পড়ুন:- বাইরে বেরোলে মহিলাদের হিজাব পরতেই হবে! বোরখা না পরলেও চলবে: তালিবান
তাদের পূর্ববর্তী শাসনকাল (১৯৯৬-২০০১), শরিয়া নিয়মে তালিবানরা মহিলাদের পড়াশুনা, কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেই নিষেধ অমান্য করলেই 'গর্দান' যেত আফগান মহিলাদের। ছিল না মহিলাদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি। বোরখা পরা ছিল বাধ্যতামূলক। বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে পরিবারের একজন পুরুষ আত্মীয়র সাথেই বেরোতে হতো|
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের এই নতুন নিয়ম এর জন্যে আফগানী মহিলারা কি একটু হলেও স্বস্তি পেলেন? পড়াশোনা, কাজের জায়গায় এই পোশাক ঠিক কতটা সহায়ক? তাদের পক্ষে আদৌ কী সম্ভব এভাবে পড়াশোনা, কাজ চালিয়ে যাওয়া? এই নতুন নিয়মাবলী কি তাদের পক্ষে সুবিধাজনক হবে? এসবের জবাব পেতে অপেক্ষা তালিবানি সরকার গড়ার।
এদিকে, কী বলেছে তালিবানের মুখপাত্র? তালিবানের মুখপাত্র সুহেইল সাহিন বলেছেন, ‘বোরখা একমাত্র হিজাব নয় যেটা দেখা যায়। আরও এক ধরণের হিজান আছে যেটা ঠিক বোরখা নয়। সেই হিজাব পরতে হবে আফগান মহিলাদের।‘ অপরদিকে, সিএনএন একটা সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করেছে। সেই ভিডিওয় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাবুলের প্রতিবেদক ক্ল্যারিসা ওয়ার্ড, আসাদ খিস্তানি নামে এক তালিবান কমান্ডারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সেখানেই মহিলাদের সঠিক পোশাক কী, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রশ্নের জবাবে খিস্তানি বলেন, ‘ইসলামিক হিজাব পরে মহিলারা শিক্ষাগ্রহণ চালিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে কারণ তেমনটাই ইসলামে বলা।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন