Advertisment

বউবাজারে ফের ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ, এলাকায় আতঙ্ক

মঙ্গলবারই মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজেরের বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকরাও। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি বাড়ি ঘুরে দেখেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bowbazar

বউবজারে বিপর্যস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে।

বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফের ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ। বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির একটা দিক ভেঙে যায়। তবে আগেই এলাকা খালি করে দেওয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এদিন ভোরের দিকে বৃষ্টির জেরেই তা ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

এদিকে মঙ্গলবারই মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজেরের বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকরাও। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি বাড়ি ঘুরে দেখেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।

ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য বউবাজারের এই অংশের নিচ দিয়েই যাচ্ছে টানেল বোরিং মেশিন। যার ভার সহ্য করতে পারেনি প্রাচীন এলাকার এইসব পুরনো বাড়িগুলি। ফলে বিপজ্জনকভাবে ফাটল ধরে দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেনের বাড়িগুলিতে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তার আগেই অবশ্য খালি করে দেওয়া হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি। সোমবার থেকে বউবাজারের ওই এলাকায় শুরু হয়েছে পাঁচটি বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ।

আরও পড়ুন: গৃহবন্দি করা হল সপুত্র চন্দ্রবাবু নাইডুকে

বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্যের কথায়, 'এই পর্যবেক্ষণ আপাতত চলবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সব বাড়িগুলিই খতিয়ে দেখা হবে। পর্যায়ক্রমে হবে মেরামতির কাজ। বাড়িগুলির মেরামতি সম্পন্ন হলে অবস্থা যাচাই করে সুড়ঙ্গ তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। '

কেএমআরসিএলের এক কর্তা জানান, এই পর্যবেক্ষণের পর রিপোর্ট তৈরি হবে। প্রায় এক সপ্তাহ পর জমা পড়বে রিপোর্ট। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাড়ির ক্ষতি দেখে তা কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে, ফের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হলে বিপর্যয় যে আর নামবে না তার আশ্বাস এখনও দিতে পারছেন না তারা। তবে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ দিনেই বৌবাজার যেন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ

চলতি মাসের শুরুর দিনেই বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাকপাড়া লেনের বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ওই দিন থেকেই প্রায় ৫০০ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও কেএমআরসিএলের প্রতিনিধঝিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেই কেএমআরসিএল আশ্বাস দেয়, বিপর্যস্ত বাড়িগুলিকে পুনরায় তৈরি করা হবে। তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে মেরামতি করে দেবে সংস্থাটি।

ইতিমধ্যেই বউবাজারের ১৯টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে ক্ষতিপূরণের এককালীন অর্থ সব ঘরছাড়া পরিবারকেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেএমআরসিএল।

kolkata
Advertisment