বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি-আরএসএসকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন ঐশী ঘোষ। বিজেপি-আরএসএসকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরের সভা থেকে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী বলেন, ‘‘এই সময় আরএসএস-বিজেপির চোখে চোখ রেখে বলা উচিত, আমরা ওদের রাজনীতি মানছি না, মানব না। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেব না বাংলায়। বিভাজন করতে দেব না’’। পাশাপাশি বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের ডাক দিলেন ঐশী।
ঠিক কী বলেছেন ঐশী ঘোষ?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে সভা থেকে ঐশী বলেন, ‘‘প্রতিবাদে বিজেপি-আরএসএস ভয় পাচ্ছে। এই সময় আরএসএস-বিজেপির চোখে চোখ রেখে বলা উচিত, আমরা ওদের রাজনীতি মানি না। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেব না বাংলায়। বিভাজন করতে দেব না’’।
আরও পড়ুন: মুকুল রায়: জীবনে কোনওদিন অনৈতিক কাজ করিনি
সিএএ-এনআরপসি ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে ঐশী বলেন, ‘‘সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের মতো কালা কানুন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের’’। বিজেপি-আরএসএসকে আক্রমণ করে ঐশী আরও বলেন, ‘‘গত কয়েকমাস ধরে আমাদের সংবিধানের উপর নিমর্ম অত্যাচার চলছে। ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা চলছে। রবীন্দ্রনাথ-কাজী নজরুলের মাটিতে দাঙ্গা করতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে চাইছে। এই রাজনীতি সমূলে উৎখাত করতে হবে। ধর্মের নামে বাংলা ভাগের রাজনীতি করতে দেব না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে দেব না’’।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সভা ঐশী ঘোষের। ছবি: অরুণিমা কর্মকার।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বিশ্বকবিকে নিয়ে চর্চা ১৩ ঘণ্টা
অন্যদিকে, এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঐশী ঘোষকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঐশী ঘোষের সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রীর সভার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করা হয়। অনুমতি না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই সভা করেন ঐশী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়ছি, ঠিকভাবে লড়তে হবে। যে লড়াই দেশে চলছে, ছাত্র আন্দোলন চলছে। সেটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে এই সভা ছিল। এই লড়াই লম্বা লড়াই, সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়লে একত্রিত হতে হবে। সভা আটকে লড়া যাবে না। কলকাতাতে ৩-৪ বছর অনেক কিছু হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সভা করতে চাইলে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে যাওয়া নয়। তর্ক-বিতর্ক, সবকিছুকে নিয়ে চলা উচিত’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন