/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/aishe-ghosh-news-759.jpg)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সভা ঐশী ঘোষের। ছবি: অরুণিমা কর্মকার।
বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি-আরএসএসকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন ঐশী ঘোষ। বিজেপি-আরএসএসকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরের সভা থেকে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী বলেন, ‘‘এই সময় আরএসএস-বিজেপির চোখে চোখ রেখে বলা উচিত, আমরা ওদের রাজনীতি মানছি না, মানব না। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেব না বাংলায়। বিভাজন করতে দেব না’’। পাশাপাশি বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের ডাক দিলেন ঐশী।
ঠিক কী বলেছেন ঐশী ঘোষ?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে সভা থেকে ঐশী বলেন, ‘‘প্রতিবাদে বিজেপি-আরএসএস ভয় পাচ্ছে। এই সময় আরএসএস-বিজেপির চোখে চোখ রেখে বলা উচিত, আমরা ওদের রাজনীতি মানি না। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেব না বাংলায়। বিভাজন করতে দেব না’’।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেই সভা ঐশীর pic.twitter.com/DKOgJURPFL
— Indian Express Bangla (@ieBangla) February 13, 2020
আরও পড়ুন: মুকুল রায়: জীবনে কোনওদিন অনৈতিক কাজ করিনি
সিএএ-এনআরপসি ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে ঐশী বলেন, ‘‘সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের মতো কালা কানুন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের’’। বিজেপি-আরএসএসকে আক্রমণ করে ঐশী আরও বলেন, ‘‘গত কয়েকমাস ধরে আমাদের সংবিধানের উপর নিমর্ম অত্যাচার চলছে। ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা চলছে। রবীন্দ্রনাথ-কাজী নজরুলের মাটিতে দাঙ্গা করতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে চাইছে। এই রাজনীতি সমূলে উৎখাত করতে হবে। ধর্মের নামে বাংলা ভাগের রাজনীতি করতে দেব না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে দেব না’’।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/aishe-news-news-759.jpg)
আরও পড়ুন: কলকাতায় বিশ্বকবিকে নিয়ে চর্চা ১৩ ঘণ্টা
অন্যদিকে, এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঐশী ঘোষকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঐশী ঘোষের সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রীর সভার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করা হয়। অনুমতি না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই সভা করেন ঐশী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়ছি, ঠিকভাবে লড়তে হবে। যে লড়াই দেশে চলছে, ছাত্র আন্দোলন চলছে। সেটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে এই সভা ছিল। এই লড়াই লম্বা লড়াই, সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়লে একত্রিত হতে হবে। সভা আটকে লড়া যাবে না। কলকাতাতে ৩-৪ বছর অনেক কিছু হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সভা করতে চাইলে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে যাওয়া নয়। তর্ক-বিতর্ক, সবকিছুকে নিয়ে চলা উচিত’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন