বছর ঘুরে পুজোর এসেছে। শহর থেকে গ্রামের অলিগলি জুড়ে মাতৃ আরাধনায় ব্যস্ত সকলেই। উমার ঘরে ফেরার পালা। শহর কলকাতার অন্যান্য পুজোগুলোর মধ্যে এবারও কিন্তু ব্যস্ততা আলিমুদ্দিন স্ট্রীটে। পুজোর আয়োজনে খামতি থাকছে না একেবারেই। একদিকে চলছে প্যান্ডেল অন্যদিকে চলছে নানান প্ল্যানিং।
গত বছর থেকে আবারও এই রাস্তায় শুরু হয়েছে দুর্গা আরাধনা। এবং সেই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী অনেকেই। আলিমুদ্দিনের বাসিন্দা এবং পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তৌসিফ রহমান এবার পুজো নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। আরও বড় পরিসরে মাতৃ আরাধনা হবে এবছর - থাকছে নানান আয়োজন। মাতৃমূর্তি এবার অনেকটাই বড়। তবে থিমের ভাবনা তুলে রেখেছেন আগামী বছরের জন্যই। তবে এবারও রয়েছে বিশেষ কিছু চমক।
তৌসিফ বললেন, "পুজোর সময় মানুষের কথা ভেবে এবার প্যান্ডেলের বাইরেও থাকবে ঠান্ডা জলের বন্দোবস্ত, রাখা হবে ফ্রিজ। মানুষ যেন গরমে কষ্ট না পান। তাছাড়াও থাকছে ভোগের বিরাট আয়োজন। এবছর ঠাকুরের ভোগের সঙ্গেও প্রতিদিন রাখা হবে খিচুড়ি এবং আলুর দম। নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই, মানুষ গেলেই তাকে প্রসাদ দেওয়া হবে। মিষ্টির মধ্যে থাকছে রসগোল্লা"। তৌসিফ জানান, সামনের বছর ইচ্ছে রয়েছে থিমের পুজো করব। সেইমত প্ল্যানিং করা হবে। এবারও বেশ কিছু বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন < নয়ের দশকের নস্টালজিয়ার সঙ্গে পুজোর গান! চমকের ছড়াছড়ি কলকাতার এই পুজোয় >
পাড়ায় একটিই হিন্দু পরিবার। তাদের জন্যই এত আনন্দ আয়োজন। পুজোর নিয়ম রীতিতে যেন খামতি না থাকে সেই দিকে নজর রাখবেন ওই পরিবারের সদস্যরা। এমনকি পুরোহিতের সঙ্গেও এই নিয়ে সবরকম কথা বলে রেখেছেন তৌসিফ। তার কথায়, পুজো সকলের আনন্দের। এখানে শুধুই ঠাকুরের আরাধনা হবে। সবকিছুই নিয়ম মেনে করা হবে। হিন্দু পরিবারের সকলে পুজোর কাজে হাত লাগাবেন, সেইদিকে যেন কোনও ত্রুটি না হয় সেগুলো দেখবেন। বাকি সব আমাদের দায়িত্ব।
২০১৩ সালে আর্থিক অভাবে বন্ধ হয় এই পুজো। গতবছর থেকেই পুজোর আয়োজনে সামিল হয়েছেন তারা। পুজোর খরচ সবই বহল করেন সংখ্যালঘুরা। এক টাকাও চাঁদা নেওয়া হয় না। আগামীতে পরিকল্পনা আরও বড়। ষষ্ঠীর দিন উদ্বোধন, পুজোর রেশ ধরতেই এই পরিকল্পনা জানালেন তৌসিফ।