আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনার আঁচ পড়ল কলকাতায়। পড়ুয়াদের মিছিলে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস অঞ্চল। সেভেন পয়েন্টে মানব বন্ধন করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশ রাস্তা অবরোধে পড়ুয়াদের বাধা দিলে গার্ড রেল ঠেলে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করছেন পড়ুয়ারা।
অভিযোগ, গত রাতে আমতায় আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল 'পুলিশ'। তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিশ অফিসার গিয়েছিলেন। ওই চারজনই জোর করে বাড়ির তিনতলায় উঠে যায়। কিছু পরেই ভারী কিছু উপর থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ পেয়েই ছুটে যান বাড়ির লোকেরাষ দেখেন আনিস পড়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমিসের বাড়ির লোকেদের দাবি, সেই সময় যারা বাড়িতে এসেছিল তারাই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে আনিসকে। অর্থাৎ তাঁদের ইঙ্গিত 'পুলিশে' দিকেই।
যদিও আমতা থানার তরফে জানানো হয় যে, গতরাতে কোনও পুলিশ আনিস খান নামের কোনও ছাত্রার বাড়িতে যায়নি।
প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে গত রাতে যে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার, এক পুলিশ অফিসার আনিসের বাড়িতে ঢুকেছিলেন তাঁরা কারা? ফলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে, পুলিশের পোশাক পরে আততায়ীরা আনিসের বাড়িতে ঢুকতে পারে। ছেলের মৃত্যুর কিনারায় আনিসের বাবা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে আনিসের খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রতিবাদীদের মতে, আনিস যেকোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। এনআরসি-র বিরুদ্ধে সরব ছিল। গত কয়েক মাস ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পড়ুয়া আন্দোলন চলছে তারও অন্যতম মুখ ছিল সে।
আমতায় মৃতের বাড়ি প্রবেশীদের দাবি, এলাকায় আইএসএফের সংগঠন বাড়ানোয় ঝোঁক ছিল আনিস খানের। সম্প্রতি রক্তন শিবিরকে কেন্দ্র করে শাসক দলের সদস্যদের সহ্গে তাঁর গন্ডোগোলও হয়েছিল। আনিস থানায় অভিযোগও জানিয়েছিল। এরপর পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু ঘিরে রাজনীতির রং গাঢ় হচ্ছে।