শহরে আরও এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগীর হদিশ মিললো। বাইপাসের ধারে এর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের অস্বস্তি বোধ করায় চিকিথসকরা তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেন। রিপোর্টে জানা যায় মিউকরমাইকোসিস আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। তবে, চিকিৎসকদের দাবি, আপাতত ভালো রয়েছেন রোগী। আগামিকালই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। বাংলাজুড়ে ত্রাহী ত্রাহী রব। এর মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস আতঙ্ক বাড়িয়েছে মানুষের।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ম। তবে, একই উপসর্গ থাকা বাকি ৫ জনও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কিনা তা আরও বিস্তারিত পরীক্ষার পরই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কারও শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের খোঁজ মিলছ কিনা, সব জেলাকে সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবন থেকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরপর দুদিন এ নিয়ে দফায় দফায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই মিউকরমাইকোসিস নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার প্রোটোকল ও একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমায়কোসিস একটি বিরল ফাঙ্গাল সংক্রমণ। কোভিড সংক্রমণ থেকে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তাঁর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। তখনই এই জাতীয় ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধে। যে সব রোগীকে দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে, বেশি পরিমাণে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন