/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/arundhati-roy-film-festival.jpg)
ফাইল ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
২৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতার শুরু হচ্ছে এক অন্য চলচ্চিত্র উৎসব। নাম জনতার চলচ্চিত্র উৎসব বা পিপলস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এবছর সাতে পা দিল এই উৎসবের বয়স।
চার দিনের এই উৎসবে মোট ৩৪টি ছবি দেখানো হবে। পিপলস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অন্যতম উদ্যোক্তা কস্তুরী বসু জানিয়েছেন, এবার উৎসবে প্রদর্শনের জন্য প্রায় ৩০০০ ছবি জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকেই ফেস্টিভ্যাল কমিটি ৩৪টি ছবি বেছে নিয়েছে।
এবারের উৎসবে দেশের নানা জায়গার ছবির সঙ্গে থাকছে নেপাল, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ছবিও। দেশে জরুরি অবস্থার সময়ে মহিলা রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে তৈরি ছবি প্রিজন ডায়েরিজ এবারের উৎসবের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছবি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
নেপালের যে ছবিটি এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে তার নাম 'টেকিং অন দ্য স্টর্ম'। বামপন্থী আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। বাংলাদেশের যে ছবি দেখানো হচ্ছে, তার নাম 'রাইজিং সাইলেন্স'। সে দেশের সাহসিনীদের কথা এ ছবিতে উঠে এসেছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/REASON-FILM-STILL-2.jpg)
এ উৎসবের সূচনা করবেন বিশিষ্ট লেখিকা তথা সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়। আসছেন বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা আনন্দ পটবর্ধন। তাঁর ছবি এ ফেস্টিভ্যালে তো প্রদর্শিত হবেই, তিনি ভাষণও দেবেন দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে। আসছেন আরেক তথ্যচিত্র নির্মাতা সঞ্জয় কাক। কাশ্মীরের আন্দোলনে কীভাবে 'ইমেজ' এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, উঠছে, সে নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
উৎসবের সমাপ্তিতে থাকবে মৌসুমি ভৌমিকের গান, আমির আজিজের কবিতা ও কথোপকথন।
২০১৯ সালে এই উৎসবেই দেখানো হয়েছিল দিল্লির জেএনইউয়ের হারানো ছাত্র নাজিবকে নিয়ে তৈরি ছবি। এসেছিলেন নাজিবের মা-ও।
এবারের উৎসবে ১০টি দীর্ঘ তথ্যচিত্র থাকছে, স্বল্প দৈর্ঘের তথ্যচিত্র থাকছে ৯টি। দক্ষিণ এশিয়া বিভাগে থাকছে তিনটি তথ্যচিত্র। ভারতীয় কাহিনিচিত্র (পূর্ণদৈর্ঘ্য) ২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র ৯টি। এ ছাড়া বিশেষ প্রদর্শন আনন্দ পটবর্ধনের তথ্যচিত্র রিজন-এর।
২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন উত্তম মঞ্চে ছবি দেখানো শুরু হবে সকাল ১০টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ উৎসবে ছবি দেখার জন্য কোনও প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করেন না উদ্যোক্তারা। যাঁরা ছবি দেখতে যান, তাঁদের কাছে সহায়তার জন্য অর্থ চাওয়া হয়। এ ছাড়া শুভানুধ্যায়ীরাও অর্থসাহায্য করে থাকেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।