/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/arjun-chourasias-highcourt-Command-hospital.jpg)
মৃত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়া।
জোর করে দেহ তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল কাশীপুরের মৃত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার পরিবারের। পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে যায় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানেই হয় ময়নাতদন্ত। কিন্তু, পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে মৃতের পরিবার। দেহ যাতে ময়নাতদন্ত না হয় তার আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনেই সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে মৃত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গোটা ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও রায়ে বলা হয়েছে যে, কম্যান্ড হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক অর্জুনের ময়নাতদন্তের জন্য দল গঠন করবে। কল্যাণী এইমস ও আর জি করের একজন করে চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে পারেন। দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে হবে। থাকবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও। মৃত্রে পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া জ্য কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ দিন সকালে কাশীপুরের পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে অর্জুনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ দাবি করলেও পরিবার তা মানতে নারাজ। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, অর্জুনের পা মাটিতেই ছিল। ফলে আত্মহত্যার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মিলছে না। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। অর্জুনকে রাজনৈতিক হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতৃত্ব। পাল্টা মৃত যুবককে তৃণমূলের কর্মী বলে সোচ্চার হন কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সিং না আসা পর্যন্ত দেহ বার করতে দেবেন না তারা। কিন্তু, পুলিশ জোর করেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠায়। তারপরই গেরুয়া নেতৃত্বের সহযোগিতায় কলকাতা হাইকোর্টে ময়নাতদন্ত বন্ধের জন্য আবেদন করেন চৌরাসিয়া পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়িতে যান। তৃণমূল সরকারকে দুষে মৃত্যুর সত্যতা উদঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। বলেন, 'সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত। গোটা দেশের মধ্যে বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে সম্প্রতি একসঙ্গে এতগুলি মামলার ভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। এটা প্রমাণিত যে বাংলায় আইনের রক্ষকদের প্রতি ভরসা নেই আদালতের।'
আরও পড়ুন-‘রাজনৈতিক খুন-CBI তদন্ত চাই’, কাশীপুরে দলের যুবনেতার মৃত্যুতে সরব অমিত শাহ