মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের অভিযোগে শুক্রবার দু'জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাউথ পোর্ট থানা এলাকার গার্ডেনরীচ-মাঝেরহাট ব্রিজের পাশে দুর্গাপুর সাইডিং রোডে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই দু'জনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল ফোর্স। জানা যাচ্ছে এই দুজনের মধ্যে একজন মালদার বাসিন্দা কারিফুল শেখ (৩৬), অপরজন বাংলাদেশের নাগরিক মহম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৬)। পুলিশ জানায় এই দুজনের কাছেই সাত প্যাকেট করে অ্যাম্ফেটামিনস (সাধারণত যাকে আমরা ইয়াবা বলে জানি) পাওয়া যায়। পুলিশ সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার ইংলিশবাজারের বাসিন্দা কারিফুল এবং বাংলাদেশের নাগরিক ইসমাইলকে নারকোটিকস আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে তারা, এর পিছনেই বা কারা রয়েছে, তা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘দিদি কে বলো’-র নয়া উদ্যোগ, মানুষের কাছে পৌঁছতে কার্টুনে প্রচার মমতার
অন্যদিকে শুক্রবার রোমানিয়ার দুই নাগরিককে ভুয়ো ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ড বানানোর দায়ে ছ'মাসের কারাদণ্ড দিল কলকাতার একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রবার্ট জর্জ এবং মারিয়ানু আলিন নামে রোমানিয়ার দুই নাগরিককে ৪০ হাজার টাকার জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে শুধু এই দু'জনই নয়, লরেন্টিউ কায়াস এবং অ্যাড্রিয়ান লুপু নামের দুই রোমানিয়ার নাগরিকদের নামেও চার্জশিট দায়ের করা আছে। যদিও অ্যাড্রিয়ান লুপু এই মুহুর্তে পলাতক, এমনটাই খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। উল্লেখ্য, এই দুই রোমানিয়ানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ব্রেবোর্ন রোড শাখার ম্যানেজার। তিনি পুলিশকে জানান, এটিএমএ ছোটো ছোটো ক্যামেরা লাগিয়ে ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করছে এই দুই রোমানিয়ান দুর্বৃত্ত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এই দুই বিদেশি নাগরিককে এটিএমে ঢুকে কিছু ডিভাইস বসাতে।
সেদিন সন্ধ্যেবেলা ফের ওই এটিএমটিতে লরেন্টিউ কায়াস এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কায়াসের কাছ থেকে অ্যাড্রিয়ান লুপু এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দিল্লিবাসী কয়েকজনের খবর পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় রবার্ট জর্জ এবং মারিয়ানু আলিনকে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির আওতায় ফৌজদারি, প্রতারণা, জালিয়াতির একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
Read the full story in English