তথৈবচ টালা ব্রিজের অবস্থা। ওই ব্রিজ দিয়ে পণ্যবাহী যান ও বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ফলে, এক ধাক্কায় যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে বেলগাছিয়া সেতুতে। অতিরিক্ত যান চলাচলের ফলে বেলগাছিয়া সেতুর অবস্থাও খারাপ হতে পারে। আশাঙ্কায় পূর্ত দফতর। তাই ওই সেতুর অতিরিক্ত ভার কমাতে পুরু পিচের আস্তরণ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি বেলগাছিয়া সেতু পরিদর্শন করে রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। সেতুর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয় বলে জানান আধিকারিকরা। তাই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় আগামী এক মাসের মধ্যেই সেতুর উপর বিটুমিনের অতিরিক্ত আস্তারণ তুলে ফেলা হবে। এতে সেতুর ভার কমবে। যা বেলগাছিয়া সেতুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। জানান, রাজ্য পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক। বেলগাছিয়া সেতুর উপরের কয়েকশো টন পিচ, পাথর এবং ট্রাম রাস্তার কংক্রিট সরানো সম্ভব হলে তার ভার বহন ক্ষমতার খানিকটা পুনরুদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছে পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জকাণ্ড: ‘বন্ধু শুধু আমাদের, আর কারোর নয়’
টালা ব্রিজ বন্ধের কারণে ক্রমশ ভার বাড়ছে বেলগাছিয়া সেতুর উপরে। তাই সজাগ প্রশাসন। সেতু-পথে পুরু হয়ে লেগে থাকা পিচের আস্তরণ তুলতে গিয়ে কম্পনের কারণে যাতে নতুন করে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয় তাও লক্ষ রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। দরপত্রে সে জন্য রোবট নিয়ন্ত্রিত বিশেয যন্ত্র ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
৫৭ বছরের পুরোন টালা ব্রিজ ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রশাসন ওই ব্রিজ দিয়ে তিন টনের বেশি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে সমস্যায় সাধারণ মানুষ। কি হবে উত্তর কলকাতা ও শহরতলীর যোগাযোগ রক্ষাকারী এই সেতুর পরিণতি? শনিবার নবান্নে বৈঠক রয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
Read the full story in English