Bengal BJP: শুক্রবারের গ্রেফতারির পর তিন দিন কাটতে না কাটতেই সোমবার জামিন পেলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে ব্যক্তিগত ২০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছে। সোমবার সজল ঘোষকে আদালতে পেশ করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজত চেয়ে কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। পাশাপাশি এই বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে চেয়ে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। দুটি আবেদন খারিজ করেছেন বিচারক। এদিন জামিন শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
এদিন আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন বিজেপি নেতা সশস্ত্র ছিলেন। রবিবার তাঁকে সঙ্গে নিয়েই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও সেই কাজে সজল ঘোষের পরিবার বাধা দিয়েছে। কোর্টে এমনটাই অভিযোগ মুচিপাড়া থানার।
এদিকে, পুলিশের এই অভিযোগ খারিজ করেছেন সজল ঘোষের আইনজীবী। ঘটনাচক্রে সজল ঘোষ একদা কংগ্রেসের দাপুটে নেতা প্রদীপ ঘোষের ছেলে। শুক্রবার চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এলাকায়। বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ গ্রেফতার করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। প্রশাসন প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে অভিযোগ করেছিলেন ধৃত বিজেপি নেতা।সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “বিনা অপরাধে আমাকে গ্রেফতার করা হল।”
ঘটনার সূত্রপাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে একটি ক্লাব ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে। সজল ঘোষ অনুগামীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অথচ মুচিপাড়া থানা থেকে ওই ক্লাবের দূরত্ব ১০ মিটারও নয়।
পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মহিলাদের কটূক্তি করেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক দাসের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তরা স্থানীয় দোকান ভাঙচুরেও যুক্ত।
ফলে ওই ক্লাবকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ এবং গন্ডগোল। শুক্রবার সকালে তৃণমূল অনুগামীরা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বিরুদ্ধে কটূক্তির অপরাধে এফআইআর দায়ের করেন। এরপরই সজল ঘোষকে পুলিশ আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু তা করতে অস্বীকার করেন ওই বিজেপি নেতা। এরপরই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন