শুক্রবার দেশের প্রথম এবং প্রাচীনতম ফার্মা সংস্থাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (hydroxychloroquine বা HCQ) উৎপাদনের অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই সেই ওষুধ, করোনাভাইরাস বা COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যার নাম ইদানীং বারবার উঠে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টরেট অফ ড্রাগস কন্ট্রোল বেঙ্গল কেমিক্যালস এবং ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (BCPL)-কে শুক্রবারই যথাবিহিত লাইসেন্স প্রদান করেছে যাতে HCQ উৎপাদন করতে পারে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের হাতে গড়া এই সংস্থা।
প্রসঙ্গত, কলকাতার বেঙ্গল কেমিক্যালই ম্যালেরিয়ার ওষুধ উৎপাদনকারী দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। সম্প্রতি HCQ উৎপাদন করতে চেয়ে লাইসেন্সের আবেদন জানায় তারা। গতকাল, বৃহস্পতিবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক বৈঠকে সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান, যেন তাঁদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
লাইসেন্স পেয়ে যাওয়ার ফলে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবার ২০০ এবং ৪০০ এমজি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তৈরি করতে পারবে।
সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "এবার আমরা এই ট্যাবলেট বানাতে পারব, কাঁচা মালের জোগানসাপেক্ষে। আমরা এই ওষুধ বানানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি। যদি কাঁচা মাল পাওয়া যায়, তবে শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব আমরা, এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম কিস্তির ওষুধ তৈরি হয়ে যাবে।"
ওই আধিকারিক আরও বলেন, দৈনিক ১০ লক্ষ ট্যাবলেট বানাতে পারে তাঁদের সংস্থা। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত, যা বিশ্বের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। উত্তরবঙ্গের অনেক অঞ্চলেই পাওয়া যায় সিঙ্কোনা গাছ, যেখান থেকে আসে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর কাঁচা মাল।