পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যেখানে সরকার কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের শিল্প এবং বাণিজ্যে মন দিয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলার সরকার ক্রমশ এগোচ্ছে। বাংলায় সূর্যোদয় হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে বাংলার নতুন উদয় হচ্ছে।”
সামাজিক সুরক্ষায় দেশের মধ্যে সেরা বাংলা। দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সবাই বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। একশো দিনের কাজে আমরা দেশের সেরা। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণে আমরা এক নম্বরে। আমরা ধান উৎপাদন থেকে ই-টেন্ডারে এক নম্বর। রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও। অতিমারিতেও বাংলার জিডিপি বেড়েছে।” বললেন মমতা।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে মমতার আবেদন, “মনে রাখবেন আপনারা অন্য রাজ্য নয় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। এখানে আমাদের পরিবারের সদস্য হবেন আপনারা। বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। নিজের উপর আস্থা রাখুন।” বিনিয়োগ করার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান মমতার।
বুধবার শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতা তথা বাংলার প্রশংসায় আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। বললেন, “কলকাতায় এসে গর্ববোধ করছি। কলকাতা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করেছে। গোপালকৃষ্ণ গোখলে বলেছিলেন, বাংলা যা আজ ভাবে ভারত তা কাল ভাবে। অত্যন্ত সত্যি কথা। বাংলা দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।”
কন্যাশ্রী-সহ পথসাথী, সবুজসাথী প্রকল্পের প্রশংসা করলেন গৌতম আদানি। বললেন, “বাংলার নারীশক্তি বরাবরই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। বাংলা নারী ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল নিদর্শন।” এদিন বাংলায় ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করলেন গৌতম আদানির। কর্মসংস্থান হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর।
শুরু হল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এদিন বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চঁদের হাট বসেছিল। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা তো রয়েইছেন, পাশাপাশি গৌতম আদানি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়াদের মতো শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধি এসেছেন।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি এদিন বলেন, লগ্নির আদর্শ জায়গা বাংলা। পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক হাব হল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে বাংলা। উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে বাংলা। বিগত দিনের বহু বিবাদ, সংঘাতকে দূরে রেখে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।
গতকালই ভুটান, কেনিয়া, জাপান-সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রী। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। যে শিল্পগুলিতে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলিকে লক্ষ্য করেছে রাজ্য। তার মধ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প, মাছ চাষ, ডেয়ারি, পোল্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিষয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার।
তবে সবকিছুর মধ্যেও শিল্প সম্মেলনে তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর এবং দেউচা-পাঁচামির কয়লা খনি শিল্পকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই দুই ক্ষেত্রে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর কুর্সিতে বসেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানে বাড়তি গুরুত্ব দেবেন। কর্মসংস্থান তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য।
এবারে সহযোগী দেশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪টি। ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সহযোগী দেশগুলিরে মধ্যে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কেনিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশ রয়েছে।
“শিল্পপতিদের যেন এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা না হয়।” বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি রাজ্যপালকে বলেন, “কেন্দ্রের থেকে যেন সবরকম সহযোগিতা পাই, সেই বিষয়টি দেখবেন।”
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে মমতার আবেদন, “মনে রাখবেন আপনারা অন্য রাজ্য নয় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। এখানে আমাদের পরিবারের সদস্য হবেন আপনারা। বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। নিজের উপর আস্থা রাখুন।” বিনিয়োগ করার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান মমতার।
সামাজিক সুরক্ষায় দেশের মধ্যে সেরা বাংলা। দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সবাই বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। একশো দিনের কাজে আমরা দেশের সেরা। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণে আমরা এক নম্বরে। আমরা ধান উৎপাদন থেকে ই-টেন্ডারে এক নম্বর। রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও। অতিমারিতেও বাংলার জিডিপি বেড়েছে।” বললেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যেখানে সরকার কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের শিল্প এবং বাণিজ্যে মন দিয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলার সরকার ক্রমশ এগোচ্ছে। বাংলায় সূর্যোদয় হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে বাংলার নতুন উদয় হচ্ছে।”
বাংলায় ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকার প্রকল্প ঘোষণা গৌতম আদানির। কর্মসংস্থান হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর।
কন্যাশ্রী-সহ পথসাথী, সবুজসাথী প্রকল্পের প্রশংসা করলেন গৌতম আদানি। বললেন, “বাংলার নারীশক্তি বরাবরই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। বাংলা নারী ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল নিদর্শন।”
শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতা তথা বাংলার প্রশংসায় আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। বললেন, “কলকাতায় এসে গর্ববোধ করছি। কলকাতা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করেছে। গোপালকৃষ্ণ গোখলে বলেছিলেন, বাংলা যা আজ ভাবে ভারত তা কাল ভাবে। অত্যন্ত সত্যি কথা। বাংলা দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।”
ব্রিটেনের ৪৯ জন প্রতিনিধি হাজির সম্মেলনে। রয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সজ্জন জিন্দাল, আজিম প্রেমজিরা।
বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের পাঁচ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা হস্তান্তর করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
“লগ্নির আদর্শ জায়গা বাংলা। পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক হাব হল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে বাংলা। উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে বাংলা।” বিগত দিনের বহু বিবাদ, সংঘাতকে দূরে রেখে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।
শুরু হল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এদিন বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চঁদের হাট বসেছিল। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা তো রয়েইছেন, পাশাপাশি গৌতম আদানি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়াদের মতো শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধি এসেছেন।