১০ দিন পর করোনামুক্ত হলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রবিবার সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তবে বয়সজনিত কারণে শারীরিক দুর্বলতার জন্য আপাতত তাঁকে আরও কয়েকদিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে দলীয় সূত্রে খবর বাড়িতে থাকলেও নির্বাচনী সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখভাল করবেন শোভনদেব।
তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সৈনিক। তৃণমূলের যে কোনও অনুষ্ঠানে তিনিই পৌরহিত্য করেন। কিছুদিন আগে তৃণমূল ভবনে সরস্বতী পুজোতে তিনিই পুরোহিত ছিলেন। তার কয়েকদিন পরই করোনা আক্রান্ত হন মন্ত্রী। করোনা সংক্রমিত হওয়ার দিন সাতেক পরও মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের জ্বর এবং গায়ে ব্যথা ছিল। শরীর খুব দুর্বল ছিল। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্ত হন শোভনদেববাবু।
এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত মন্ত্রী-বিধায়কের তালিকাটা দীর্ঘ। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়িও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী, ফুয়াদ হালিম, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষের মতো বিরোধী নেতাদের শরীরেও থাবা বসিয়েছিল এই মারণ ভাইরাস। প্রত্যেকেই অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয় এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস, ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের।