শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রের পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নারদ-কাণ্ডে ধৃত হয়ে চিকিৎসাধীন হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। উডবার্নের ১০২ নম্বর কেবিনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তাঁর পাশের দুই কেবিনে চিকিৎসাধীন মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।
সুব্রতর আগে মঙ্গলবার ভোররাতেই এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল নারদ মামলার আরও দুই অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে। তাঁদের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৪ এবং ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে।
সুব্রতকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। তার আগে ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদও একবার তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ভোরবেলায় হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা না করেই সুব্রত ফিরে আসেন জেলে।
পরে সকালে আবার মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে এলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছেন সুব্রতের আইনজীবী। এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন প্রবীণ রাজনীতিবিদের স্ত্রীও। আপাতত সুব্রতের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল তাঁকে দেখেছেন।
মন্ত্রীর বুকের এক্স রে করা হয়েছে বলেও খবর। হাসপাতালের বিশেষ মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তাঁর কোভিড পরীক্ষাও হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানে এসে পৌঁছন তাঁর স্ত্রী-ও।
নারদ মামলায় অভিযুক্ত সুব্রত, ফিরহাদ হাকিম, শোভন এবং মদনকে সোমবার রাতেই নিয়ে আসা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সন্ধ্যায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেয় ওই চার জনকে। কিন্তু রাতে ওই জামিনের নির্দেশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরই প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয়েছিল শোভন, মদন, সুব্রত এবং ফিরহাদকে।
এদিকে, প্রেসিডেন্সি জেলে এখন একমাত্র বন্দি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন সকালে তিনি জেল চত্বরে মর্নিং ওয়াক করেছেন। এমনটাই জানিয়েছে মন্ত্রীর পরিবার।