সল্টলেকের আবাসনে যুগলের দেহ উদ্ধার! ‘আর্থিক অনটন’, উল্লেখ সুইসাইড নোটে

Saltlake Body: আবাসনের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় একটি কাজে দেবাশিসদের ফ্ল্যাটে যান তিনি। কিন্তু ডেকেও সাড়া পাননি।

Saltlake Body: আবাসনের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় একটি কাজে দেবাশিসদের ফ্ল্যাটে যান তিনি। কিন্তু ডেকেও সাড়া পাননি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কোভিডে মৃত্যুর এক বছর পরে মর্গে উদ্ধার জোড়া দেহ! চোখ কপালে প্রশাসনের

প্রতীকী চিত্র।

Saltlake Body Recover: সল্টলেকের অভিজাত আবাসনের বহুতলে উদ্ধার যুবক-যুবতীর দেহ। দু’জনেই চেন্নাইয়ের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। কর্মসূত্রে সল্টলেকের আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আবাসিকদের থেকে খবর পেয়েই দেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নয়াপট্টি এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও শুভাদীপ্তা গুহ বিশ্বাস। তাঁদের দু’জনের বাড়িই কোচবিহারে। চলতি মাসেই তাঁদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

Advertisment

এই ঘটনা প্রথমে যার নজরে আসে, সেই আবাসনের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় একটি কাজে দেবাশিসদের ফ্ল্যাটে যান তিনি। কিন্তু  ডেকেও সাড়া পাননি। ভিতর থেকে এসির শব্দ আসছিল। বহুক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর সন্দেহ হয়।  তখন তিনি বাকি বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান।তারপরেই যায় পুলিশে।

খবর পেয়েই বিধাননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা দরজা ভেঙে দেখেন ঘরের মেঝেতে পড়ে শুভাদীপ্তার মৃতদেহ। দেবাশিসের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। এমনকি, ঘরের মধ্যে থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে।ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখেই এর পিছনে অন্য কেউ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।

 পুলিশ সূত্রে খবর সেই নোটে উল্লেখ, আর্থিক সমস্যার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন দেবাশিস-শুভাদীপ্তা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে শুভাদীপ্তাকে খুন করে তার পরে আত্মঘাতী হয়েছেন দেবাশিস। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশের একটি সুত্র।

Advertisment

 ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Couples Chennai