আবারও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন মুকুল রায়। প্রতারণা, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের মামলায় সোমবার কালীঘাট থানায় বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কালীঘাট থানায় এসে এদিন মুকুল বলেন, ‘‘কেউ ইচ্ছে হলে মামলা করতেই পারেন। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। জীবনে কোনওদিন অনৈতিক কাজ করিনি। আমি মোটেই বিব্রত নই’’। উল্লেখ্য, একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। এজন্য একসময়ের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহুবার বিঁধেছেন মুকুল।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে এক তৃণমূল নেতার কাছে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। মুকুল রায়ের নির্দেশ মতো ওই তৃণমূল নেতার কাছে টাকা পাঠানো হবে বলে বলা হয়। এরপরই এ বিষয়টি নিয়ে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই তৃণমূল নেতা। এরপরই কালীঘাট থানাকে এ ঘটনার তদন্ত করতে বলে আদালত। এদিন মুকুলের আইনজীবী জানান, ‘‘আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে হাইকোর্ট’’।
আরও পড়ুন: মমতা সরকারের বাজেট: একনজরে বড় ঘোষণা
এ মামলায় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারিও কালীঘাট থানায় মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে মুকুল বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। রাজনৈতিক হীনমন্যতা থেকে এসব মামলা করা হচ্ছে। আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারে আগে কোনও মামলা ছিল না। মমতা আসার পর থেকে আমার নামে ৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মমতা নিজে খুনের মামলা লোপাট করেছেন। বারাসত আদালতে সেই মামলা ছিল। ইতিহাস বলছে, এই সরকারের পতন হবেই’’।