Kolkata Civic Poll 2022: রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। তাই আসন্ন কলকাতা পুরভোট অবাধ এবং স্বচ্ছ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব বিজেপি। আর মঙ্গলবার এই দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচনে দরবার করেছে এক প্রতিনিধি দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির এই প্রতিনিধি দল একগুচ্ছ দাবি রেখেছে কমিশনের কাছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পুরভোট আয়োজনে পাশাপাশি ইভিএম-এ ভিভিপ্যাট বাধ্যতামূলক করতেও দাবি জানায় বিজেপি। দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কমিশন দফতর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অন্য রাজ্যগুলোর মতো নয়। এখানে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খোদ কলকাতাতেই হয়েছে। কমিশন রাজ্য পুলিশে আস্থা রাখার কথা বললেও, আমাদের আস্থা নেই। কমিশন বলেছে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কিন্তু অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের স্বার্থে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি ইভিএম-এ ভিভিপ্যাট চেয়েও কমিশনকে বলা হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব।‘
এদিকে, মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে কলকাতার নগরপাল অবাধ ও স্বছ পরিচালনার কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের ব্যবস্থা কমিশনকে অবগত করা হয়েছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ভোট পরিচালনায় থাকবে রাজ্য পুলিশ। তবে রাজ্য পুলিশকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটা কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।‘
অপরদিকে, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সব মেয়াদউত্তীর্ণ পুরসভার ভোট করে দেওয়া হবে। উত্তরদিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দোল, হলি সহ নানা অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ দেখে ভোট করানো হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক বৈঠকে মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের বিধায়কের কাছ থেকে ভোটের আগের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জবাবে তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরের দু’টি পুরসভাতেই ভালো ফল হবে।’ এর প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সব পুরসভার ভোট করিয়ে দেব।’
এরপরই প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দোল, হলি ও গঙ্গাসাগরের দিন জানতে চান। ওইসব বিবেচনা করেই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরনিগম ও পুরসভা নিয়ে রাজ্যের ১২১ টির মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধু কলকাতা পুরনিগমের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতায় ভোট হবে ১৯ ডিসেম্বর। হাওড়াতেও একই সঙ্গে ভোট করানোয় আগ্রহী ছিল নবান্ন। তবে, বালি পুর এলাকাকে হাওড়া পুরনিগম থেকে বাদ দিয়ে ভোট করানোর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া থেকে বালি বিচ্ছিন্নকরণের বিলে এখনও সম্মতি সাক্ষর দেননি রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন