আর কয়েক মাসের মধ্যেই মিল মেলা প্রাঙ্গন নতুন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করবে। সেখানেই কলকাতার সব মেলা হবে। কিন্তু, বইমেলার ঠিকানা বদল হবে না। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের প্রতিবছর বসবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলার আসর। সেই সূত্রেই সেন্ট্রাল পার্কের নাম বদলে হচ্ছে 'বইমেলা প্রাঙ্গন'। সোমবার ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
এবার ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষেই এদিন উদ্বোধনী মঞ্চে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী দুই বাংলার এক ভাষা, এক সংস্কৃতী নিয়ে আবেগে ভাসেন। তিনি বলেছেন, 'দুই বাংলার সম্পর্কের সীমা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া যায় না। এই সম্পর্ক সীমার মাঝেও অসীম। দুই বাংলার মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।'
সোমবার মেলা উদ্বোধনের বেশ কিছুটা আগেই সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন, কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য।
মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের পরই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যান তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলার' স্টলে। এবূার এই স্টল লক্ষ্ণী ঘটের আকারে সেজে উঠেছে। দলীয় স্টলের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কলকাতা পুলিশের স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। মেলায় যাতে মসৃণভাবে বইপ্রেমীরা আসা-যাওয়া করতে পারেন তার জন্য বিশেষ আয়োজনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার বইমেলায় মোট ৬০০টি স্টল রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল রয়েছে ২০০টি। মেলায় প্রবেশ-বাহিরের জন্য ৯টি তোরণ রয়েছে। বাংলাদেশ থিমকান্ট্রি হওয়ায় তিনটি তোরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের লেখা বইয়ের আদলে তৈরি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গেটও রয়েছে।
বইমেলা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, আগামী বছর আন্তর্জাতিক সঙ্গীত মেলার আয়োজনও করা হবে।