এখনও ভেঙে পড়ছে বাড়ি, তার মধ্যেই বৌবাজার মেট্রো সুড়ঙ্গ কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে শুরু হয়ে গেল গোলমাল। "উড়ে এসে জুড়ে বসে" পাঁচ লক্ষ টাকা নিতে চান জনা পঁচিশ, এমনই অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলার সত্যেন্দ্রনাথ দে'র।
তিনি বলেন, "আদতে তাঁরা বৌবাজারের বাসিন্দা নন, ভোটার তালিকায় নামও নেই। কোনো এককালে স্যাকরাপাড়া ও দুর্গা পিথুরি লেনে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। তারপর কিছুদিন থাকার পর তালা দিয়ে চলে যান অন্যত্র। বাড়িওয়ালাকে সামান্য মূল্যের ভাড়াটুকুও দিতেন না তাঁরা। এদিকে বৌবাজার বিপর্যয়ের ঘটনা কানে পৌঁছনো মাত্রই ফর্মে সই করে হোটেলে থাকা শুরু করেছেন।"
ওদিকে হোটেল কতৃপক্ষের দাবি, চর্বচোষ্য খেয়ে, গরম জল থেকে শুরু করে ক্ষণে ক্ষণে কফির অর্ডার দিচ্ছেন এইসব দাবিদাররা। খাবারের উনিশ-বিশ হলে "রে রে করে" তেড়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়ার মল্লিকফটক
সত্যেন্দ্রবাবু বলেন, "গত দুদিনে তিন ভাগে টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন আমার অফিসে এসে তাঁরা জানান, ক্ষতিপূরণের টাকা পান নি। কিন্তু বাড়ি ভাঙার তালিকা ও ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা যায়, তাঁরা বৌবাজারের বাসিন্দাই নন।" সত্যেন্দ্রবাবু আরও বলেন, "ওই বাসিন্দাদের দাবি, 'আমরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম, ঘরে আমাদের জিনিসপত্র ছিল। কাজের সূত্রে আমরা বাইরে থাকি'। কিন্তু এখনই এই জনা পঁচিশকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তালিকাভুক্ত সকলে টাকা পেয়ে গেলে এঁদের দাবির পর্যালোচনা করা হবে।"
বৃহস্পতিবারই দেখা দেয় এই নতুন সমস্যা। তখনই ক্ষতিপূরণ বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং সিদ্ধান্তে আসা হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে গেলে এবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে মুচলেকা জমা দিতে হবে বৌবাজারের গৃহহীন বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: মুসলিম বালিকাকে অষ্টমীতে কুমারী রূপে পুজো করার প্রস্তুতি কলকাতায়
জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের পর থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে শুরু করে মেট্রো। যে তালিকা তৈরির কাজ আজও অব্যাহত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ৮৩ টি পরিবারকে তিনবারে চেকের মাধ্যমে বা সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
যে মুচলেকা দিতে হবে তাতে লেখা থাকবে, পরিবার সম্পর্কিত যা যা তথ্য মেট্রোকে জানানো হয়েছে, তা নির্ভুল। তথ্য যাচাইয়ের সময় কোনও অসত্য তথ্য ধরা পড়লে মেট্রো সেই তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।