বৌবাজারের দুর্গা পিথুরি লেন ও স্যাকরাপাড়ার ভগ্নপ্রায় বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল জমা করল বিশেষজ্ঞের দল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে ভেঙে পড়ে এই দুই পাড়ার একাধিক বাড়ি। ১০ সেপ্টেম্বর মেট্রোর কাজের জন্য বৌবাজারের বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড অর্থাৎ কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকরাও। এদিন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি বাড়ি ঘুরে দেখেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।
বুধবার কেএমআরসিএল-এর কাছে জমা দেওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল। অতিরিক্ত আরও ২৭ টি বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়। যেগুলি এতদিন মেরামতি তালিকা বহির্ভূত ছিল। চিহ্নিত করা এই বাড়িগুলি মূলত বৌবাজার এলাকার দুর্গা পিথুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেন এবং গৌর লেনে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তুপ বৌবাজারে এবার ক্ষতিপূরণের দাবিদার ‘ভূত’!
সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে বিশেষজ্ঞের দল ৭০ টি বাড়ি পরীক্ষা করে ৫৪ টি বাড়ির রিপোর্ট জমা দেন। এই ৫৪ টির মধ্যে ২৭ টি বাড়ি ভেঙে ফেলা দরকার। এছাড়া বাকি ২৭ টি বাড়ির মেরামতির পর বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। উল্লেখ্য, গত ৩১ অগাস্ট মেট্রোর কাজের জন্য এ অঞ্চলের বহু পুরোনো বাড়িগুলির কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী দোকান দেবে কেএমআরসিএল
বিপর্যয়ের পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নীতিন সোমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে দলটি কমপক্ষে দুবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে খবর।
সূত্রমতে, বৌবাজারের ভগ্নপ্রায় বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টের অনুলিপি পরবর্তী কার্যক্রমের আগে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশকে পাঠানো হবে। জানা যাচ্ছে, কিছু বাসিন্দাকেও শিগগিরই স্থানান্তর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেএমআরসিএল কর্মকর্তারা। দুর্গা পিথুরি লেনের বাসিন্দাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। যাঁদের বাড়ি মেরামত করা হয়ে যাবে, তাঁদের পুজোর আগেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
Read the full story in English