মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃৎ, করোনা কেড়ে নিল ব্রজ রায়কে

বিপ্লবী কমিউনিস্ট ধারার কর্মী বহু আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

বিপ্লবী কমিউনিস্ট ধারার কর্মী বহু আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ব্রজ রায়। ফাইল ছবি

'একে একে নিভিছে দেউটি…'! করোনা অতিমারীতে দৈনন্দিন মৃত্যুমিছিল বাড়ছেই। সেইসঙ্গে কোভিডের ছোবলে চলে যাচ্ছেন বাংলার বিশিষ্ট প্রথিতযশারা। বৃহস্পতিবার কোভিড কেড়ে নিল ব্রজ রায়কে। বাংলায় মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন ব্রজ রায়।

Advertisment

নানা রকম শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর সেখান থেকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। এদিন সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ব্রজ রায়ের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বাংলার দেহ ও অঙ্গদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায় ছিলেন গণদর্পণ গোষ্ঠীর প্রধান। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ছিল বামপন্থী হিসাবে। বিপ্লবী কমিউনিস্ট ধারার কর্মী বহু আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

আন্দোলনের জন্য জেলবন্দি ছিলেন তিনি বেশ কয়েক বছর। কারামুক্ত হয়ে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর সঙ্গেও যুক্ত হন। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে তাঁর বড় পরিচয় ছিল মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদান আন্দোলনের পুরোধা হিসাবে। বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এই মহান উদ্যোগে শামিল করেছিলেন ব্রজ রায়। এমন একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বকে কেড়ে নিল করোনা। তাঁর মৃত্যুতে বাংলার মানবাধিকার কর্মী ও সমাজকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমেছে।

Advertisment

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কোভিডে মৃত্যু হয় বাংলার যৌনকর্মী ও সমাজে ব্রাত্য মহিলাদের অধিকারের লড়াইয়ের পথিকৃৎ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. স্মরজিৎ জানার। তারপর আজ ব্রজ রায়ের চলে যাওয়া একে একে সমাজের ঊজ্জ্বল আলো নিভিয়ে দিচ্ছে মারণ ভাইরাস। দুঃখের বিষয়, করোনা বিধির কারণে নিজের দেহই দান করা হল না তাঁর।

coronavirus