হাসপাতালে ভর্তির সময় তাঁর তাঁর অক্সিজেন মাত্রা ছিল ৮০-এর উপরে। গত দু’দিনে সেই মাত্রা বেড়ে ৯২। বৃহস্পতিবার পাওয়া শেষ খবরে, ভালোই আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।সামান্য উন্নতি হয়েছে শারীরিক অবস্থার। তাঁর জ্ঞান রয়েছে। এবং চিকিৎসকদের সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনও বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।
হাসপাতাল জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রতি মিনিটে ৪ লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে বুদ্ধদেবকে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশ। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর হৃদ্স্পন্দনের মাত্রা প্রতি মিনিটে ৫৪।
হাসপাতাল জানিয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়াদাওয়া করছেন বুদ্ধদেব। অর্থাৎ নল দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে না তাঁকে। এই মুহূর্তে তাঁকে রেমডেসিভির দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর রক্ত যাতে জমাট বাঁধতে না পারে, সেই চিকিৎসাও চলছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেবের প্রতি মুহূর্তের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন তাঁরা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিকে, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বুদ্ধ-পত্নী মীরা ভট্টাচার্য। অপরদিকে, মঙ্গলবার অক্সিজেন মাত্রা কমে যাওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। বুধবার সকালে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বুদ্ধদেবকে।
সোমবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। অক্সিজেন মাত্রা নেমে যায় ৮৫-এর নিচে। তারপরেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে। সেই সময় তাঁর অক্সিজেন মাত্রা ছিল ৮২। এরপর মিনিটে প্রায় ৩ লিটার অক্সিজেন দিয়ে স্থিতিশীল করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
তবে তাঁর ফুসফুসে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনটাই মঙ্গলবার জানান তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা। ছ’জনের বিশেষ মেডিক্যাল টিম আলোচনায় বসেছে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তবে অসুস্থ হলেও বুদ্ধদেবের জ্ঞান রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। বাইপ্যাপের সাহায্যে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন, চিকিৎসক সৌপ্তিক পান্ডা, কৌশিক চক্রবর্তী, সোমনাথ মাইতি, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ধ্রুব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল বুদ্ধদেবের। বাধ্য হয়েই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।