/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/court-1.jpg)
বিচারককে জুতো ছুড়ল জঙ্গি।
ভরা এজলাস। বিচার চলছে আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তের। হটাৎই বিচারকের দিকে জুতো ছুড়ে মারলেন অভিযুক্ত জঙ্গি। হতভম্ব উপস্থিত সকলে। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনা ব্যাঙ্কশাল কোর্টের।
বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত আবু মুসা। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ও জঙ্গি সংগঠন আইএস যোগ সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাতে রয়েছে সে। বর্ধমান বিস্ফোরণ মামলায় শুনানি ছিল মঙ্গলবার। শুনানি চলাকালীনই বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের দিকে জুতো ছুড়ে মারে মুসা। যদিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তা। জুতো গিয়ে লাগে এনআইএ-এর আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের গায়ে।
আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’-এর সংজ্ঞা বর্তমান আইনে নেই, সাফ জানাল কেন্দ্র
এক পুলিশ কর্মীর কথায়, জুতো ছোড়ার আগে এনআইএ আইনজীবীর একটানা প্রশ্নে রেগে গিয়েছিল মুসা। তারপরই সে বলে, 'মানুষের তৈরি আইন সে মানে না। সেই আইনের দ্বারা কখনই সুবিচার পাবে না।' তবে এই প্রথম নয়, মুসা এর আগেও বেশ কয়েকবার আক্রমণাত্মক আচরণ করেছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্সি জেলের ওয়ার্ডন-কে আক্রমণ করেছিল সে। আলিপুর জেলে থাকাকালীন ২০১৭ সালে পেরেক দিয়ে ক রক্ষীয় গলা ক্ষত করে দেয়। বিভিন্ন সময়ই সে জিহাদী স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: দোষীদের চরম শাস্তির অপেক্ষায় খাগড়াগড়ের বাসিন্দারা
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে উদ্যোগী এনআইএ। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যাতে এবার থেকে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মুসার মামলার বিচার চলে তার আবেদন জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত মুসা এনআইএ হেফাজতে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।
২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আবু মুসা। ২০১৬ সালের জুলাইতে বর্ধমান স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তারপর এই মামলার ভার যায় এনআইএ-এর কাছে। জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এর লোন উল্ফ আক্রমণকারী সে। যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ানোর ক্ষেত্রেও মুসার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন