Bus Service Resume: দক্ষিণ কলকাতায় এক বাসের থেকে চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। শুক্রবার সকালে ৩৭ নম্বর রুটের বাস থেকে চালক রঞ্জিতের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর সহকর্মীদের অভিযোগ, ‘আর্থিক অনটনেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।‘ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দেড় মাস বাস বসে। এমনকি পয়লা জুলাই থেকে বাসের মতো গণপরিবহণে সরকার ছাড় দিলেও অনেক বাস নামেনি পথে। তাই আর্থিক অনটনে পড়েছিলেন রঞ্জিত। মাঝে সেই কথা কয়েকজন সহকর্মীকেও বলেছিলেন তিনি। সেই অবসাদেই সম্ভবত আত্মহত্যা। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর পারিবারিক কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। ওই রুটের অন্য বাস চালকরা বলেছেন, গাড়িতেই ঘুমাতেন রঞ্জিত। বুধবারেও বাসে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে লেক থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বাস মালিকদের বৈঠক হলেও মেলেনি সমাধানসুত্র। এখনই ভাড়া বাড়াতে নারাজ নবান্ন। সেদিন বৈঠকে মালিকপক্ষকে আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এমনকি অবিলম্বে তাঁদের বাস নামাতে আবেদন করেছেন মন্ত্রী। ভাড়াবৃদ্ধির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এমনটাই বৈঠকে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। কিন্তু ভাড়া না বাড়ালে বাস নামাতে নারাজ মালিকপক্ষ।
তাঁরা জানিয়েছেন, সংগঠনের কোনও সদস্যকে বাস নামানোর জন্য জোর করা হবে না। যারা ক্ষতির বোঝা বয়ে চালাতে পারবেন, তাঁরা নামাবেন বাস।অপরদিকে, বুধবার রাজ্য বাজেটে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি বাসে রোড ট্যাক্স মকুব করেছে রাজ্যের সরকার। এখন দেখার সরকারি এই পদ্দক্ষেপে কিছুটা সুরাহা হয় কিনা বাস মালিকদের। যাত্রী হেনস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে রাস্তায় বাস নামান কিনা বাস মালিক সংগঠন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন