কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! অবশেষে নবনির্মিত টালা সেতুতে বাস চলার অনুমতি দিল পূর্ত দফতর। চতুর্থী অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে সেতুতে চলবে বাস। ফলে শহরতলি থেকে কলকাতায় বা কলকাতা থেকে শহরতলিতে যাওয়ার জন্য বাসযাত্রীদের আর সমস্যা থাকল না। ২২ সেপ্টেম্বর, গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিজের উদ্বোধন করলেও ওই দিন থেকে ব্রিজে যান চলাচলের অনুমতি ছিল না।
Advertisment
৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল থেকে ব্রিজে যান চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। তবে ছোট গাড়ি, বাহনের অনুমতি দেওয়া হয়। এবার চতুর্থীর দিন থেকে টালা সেতুতে বাস চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পূর্ত দফতর আরও জানিয়েছে, পুজোর পর থেকে নবনির্মিত টালা সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি মিলবে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে টালা সেতুতে বাস চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়াতে আপত্তি ছিল পুলিশের। তবে পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ চতুর্থী থেকে বাস চলাচল করতে পারবে চার লেনের এই সেতুতে। ফলে শারদোৎসবে শামিল হতে কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। ২০১৯ সালে পুজোর আগে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি সংস্থা রাইটস জানায়, ব্রিজ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা উচিত। ওই বছরই পুজোর আগে সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তার পরই করোনা অতিমারি চলে আসে। এপ্রিলে ব্রিজ ভাঙার কাজ শেষ হয়।
এর পর অগস্ট মাসে শুরু ব্রিজ নির্মাণের কাজ। নির্মাণকারী সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড এই কাজ শুরু করে। এই বছর জানুয়ারি মাসে পূর্ত দফতর জানিয়ে দেয়, এপ্রিলে খুলে যাবে ব্রিজ। কিন্তু সময়ে সেই কাজ শেষ হয়নি। ব্রিজ নির্মাণে ৪৬৮ কোটি খরচ হয়েছে। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই টালা সেতু কলকাতা এবং শহরতলির মূল সংযোগকারী সেতু। এতদিন পর ফের জুড়ল কলকাতা এবং শহরতলি। ব্রিজ খুলে যাওয়া খুশি নিত্যযাত্রীরা। পুজোর বাড়তি পাওনা তাঁদের কাছে।