বুধবারেও কলকাতা হাইকোর্টে চলেছে নারদ স্থানান্তর মামলার শুনানি। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহেতাকে একাধিক প্রশ্ন করেন। বৃহত্তর বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘চার জনকে গ্রেফতারির সময় অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখানো হয়েছিল।‘ জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহেতা বলেন, ‘না, তদন্তকারীরা অধিকার বলে এই গ্রেফতার করেছে।‘ তাঁকে এদিন কেস ডায়রি নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। জবাবে তুষার মেহেতা বলেছেন, ‘সেটাও নিম্ন আদালতে জমা হয়নি।‘
বিচারপতি সৌমেন সেন তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘চার্জশিটের হার্ডকপি আপনারা জমা দিতে পেরেছিলেন?’ মেহেতার জবাব, ‘হ্যাঁ, জমা দেওয়া হয়েছিল।‘ এদিন শুনানিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তুষার মেহেতা। যেদিন ওই ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন কেন্দ্র সরকারকে বাঙালি-বিদ্বেষী বলে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
এই মন্তব্য নিন্দনীয় বলে এদিন বৃহত্তর বেঞ্চে মন্তব্য করেছেন সলিসিটর জেনারেল। এদিকে, নারদ মামলা অন্যত্র স্থানান্তর নিয়ে সোমবার থেকে শুনানি চলছে। মঙ্গলবার দুপুরেও হয়েছে প্রায় ৪ ঘণ্টার শুনানি। বুধবার ফের সাড়ে ১১ টায় বৃহত্তর বেঞ্চ শুরু হয় শুনানি।
মঙ্গলবারের শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব এবং গ্রেফতারির দিন নিজাম প্যালেসের সামনে চলা প্রতিবাদ প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআই আইনজীবী তুষার মেহেতা। সেই প্রসঙ্গে বেঞ্চের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কীভাবে বিচার প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলেছে বলুন?’
অপরদিকে, শুক্রবার এই মামলায় গ্রেফতার ৪ হেভিওয়েটের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন