আজকের মতো নারদ মামলার শুনানি শেষ। আগামিকাল দুপুর ২টোয় ফের শুনানি। আরও অন্তত একদিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে। আদালত সূত্রে খবর, এদিন সিবিআইয়ের আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। কাল হেভিওয়েটদের পক্ষে আবেদনের শুনানি হবে। আগামিকাল অবধি বহাল থাকবে নিম্ন আদালতের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
এদিন শুনানি শেষে ধৃতদের পক্ষে অন্য আইনজীবীরা বলেছেন, ‘আমরা করোনা সংক্রান্ত শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছি।‘ এদিনের শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীর নিজাম প্যালেসে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। আইনমন্ত্রী কেন নিম্ন আদালতে শুনানির সময় ছিলেন প্রশ্ন তোলেন তুষার মেহেতা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেন সলিসিটর জেনারেল।
পাশাপাশি গ্রেফতারির পর তাদের কর্মী-সমর্থকদের আচরণের বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। এই সওয়ালের পাল্টা জবাবে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ‘গত ৪ বছরে কোনও গ্রেফতারি হয়নি। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যেটা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার। চার্জশিট পেশের দিনেই গ্রেফতারি কী করে?’
হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানিতে সোমবার নিম্ন আদালতের জামিনের বিরোধিতায় করা সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বেঞ্চ বলেছে, ‘জামিন হবে কিনা আমরা কেন সিদ্ধান্ত নেব? মানুষের চাপের অভিযোগ ছিল তাই জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছি। করোনাকালে জেলে রাখার দরকার আছে কি?’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে এই প্রশ্ন করে হাইকোর্ট। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
কোর্টের প্রশ্ন, ‘ধৃতেরা তদন্তে অসহযোগিতা করেছে? চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?’ যদিও সলিসিটর জেনারেলের মন্তব্য, ‘ধৃতেরা কেউ জেলে নেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিহাসে এটা অভূতপূর্ব ঘটনা।‘ তিনি বলেন, ‘এই হাইকোর্ট সিবিআইকে নিয়োগ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতারের কথা বলছেন। চাপ তৈরি কৌশল নেওয়া হয়েছে।‘ পাল্টা ধৃতদের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সওয়াল করেন, ‘ধৃতদের না জানিয়ে মামলা হয়েছে। তখন ন্যায়-বিচারের কথা মনে ছিল না। কেন্দ্রীয় সংস্থা ছলে-বলে তাদের জেলে ঢোকানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।‘