বঙ্গ বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গত একসপ্তাহ ধরে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি হিংসাদীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ দল। এই আবহে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করল হাই কোর্ট। সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলায় এই পর্যবেক্ষণ রাজ্যের উচ্চ আদালতের। পাশাপাশি, কেন্দ্র এবং রাজ্য— সকলকে এই সমস্যার মোকাবিলা করার কথাও বলেছে হাই কোর্ট।
বিধানসভা ভোটে বিপুল ভাবে হারের পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসা চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। উঠেছে খুনের অভিযোগও। পাল্টা অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদলও। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের খুন করেছে বলেও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও। এমন পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করল হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সোমবার উচ্চ আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, গত ৭ এবং ৮ মে-র পর থেকে আর কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। রাজ্যের জবাবে সন্তুষ্ট হাই কোর্ট। আদালতের মতে, ‘মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ভোট-পরবর্তী হিংসা বন্ধে পদক্ষেপ করেছেন।‘
আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেন ওই আইনজীবী। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার।
এদিকে, সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যখন ২৯ জন বিরোধী বিধায়ক ছিলেন, তখন আমি বিধানসভার সদস্য ছিলাম। ২৩৫- এর দম্ভ আমি দেখেছি। সেই পরিস্থিতি এখন নেই। আমার অঙ্গীকার হল, হিংসা মুক্ত বাংলা। শান্তির বাংলা। যে কোনও গঠনমূলক কাজে সরকারের সহযোগিতা করব।’
রাজ্য বিধানসভার নয়া বিরোধী দলনেতা রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ প্রথা মাফিক এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমাকে মালা পরানো হয়েছে, পরেছি। কিন্তু আমাদের মন ভাল নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। এখানে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। শুধু মাত্র অন্য দলকে ভোট দেওয়ার জন্য লক্ষাধিক মানুষকে বাইরে থাকতে হচ্ছে। তাই আজ উল্লাস করার সময় নয়।’’