দু-টাকার টিকিট বিক্রির তহবিল থেকে উধাও ৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকা! কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এই রহস্যের তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন কাউন্টারেরই এক কর্মী। ইতিমধ্যে তাঁকে নোটিশ দিয়ে কাউন্টার থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশেও। কিন্তু কেমন করে এত টাকা সরিয়ে দিলেন ওই কর্মী? কেন আরও আগেই ধরা পড়লেন না?
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, এত খুচরো টাকা প্রতিদিন গুনে রাখা সম্ভব হয় না। প্রতিদিন কত টাকার বিক্রি হলো, কত টাকা জমা পড়ল মেডিক্যাল কলেজের তহবিলে, তার সঠিক হিসেব রাখা হয় না।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে টাকা পয়সার হিসেব করতে গিয়ে দেখা যায়, ৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকা কম রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের তহবিলে। সূত্রের খবর, প্রত্যেকদিন এত টাকার খুচরো কোনো ব্যাঙ্ক নিতে চায় না। সেই কারণে সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটা দিনে এই টাকা জমা পড়ে ব্যাঙ্কে। সেরকম কোনো নজরদারি না থাকায়, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক তছরূপ করেছেন ওই কর্মী।
মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ওই কর্মীকে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন শো-কজের উত্তর দিতে হবে তাকে। হয় টাকা ফেরত দেবে, নয়তো আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের অ্যাকাউন্টস অফিসার নিজেই সবটা ঘুরে দেখেন। যখন টাকার হিসেব মেলাতে গেছেন তিনি, তখন দেখছেন সঠিক অ্যামাউন্টের টাকা নেই। খোঁজ চালাতে গিয়ে দেখা যায়, ছটি কাউন্টারের মধ্যে একটি কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ওই কর্মী টাকা জমা করে নি।" বর্তমানে ওই কর্মীর তরফে উত্তরের অপেক্ষায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সন্তোষজনক জবাব এবং টাকা ফেরত পেলে পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে কিনা, তাও ভেবে দেখছেন তাঁরা।