রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কলকাতায় চালু হয়েছে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। অতিমারির জন্য দু'বছর এই কার্নিভাল বন্ধ ছিল। ফের সেই কার্নিভাল হতে চলেছে এবার। শনিবার শহর কলকাতার ১০০টি পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নেবে। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এবার ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে দুর্গাপুজো। তাই পুজোয় উপস্থিত থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও।
বৃহস্পতিবার এনিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কার্নিভালে অংশ নেওয়া প্রতিটি পুজো কমিটি সর্বাধিক তিনটি গাড়ি আনতে পারবে। প্রতিমা-সহ প্রতিটি গাড়ির উচ্চতা থাকবে ১৬ ফুটের মধ্যে। আর, যে সব প্রতিমার উচ্চতা বেশি, তাদের নিচু গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। কার্নিভালে অংশ নেওয়া গাড়ির নাম-সহ চালকের যাবতীয় তথ্য স্থানীয় থানায় জমা রাখতে হবে।
কার্নিভালে আনা গাড়িগুলোর কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না, তা আগেই খতিয়ে দেখতে হবে। কার্নিভাল বা শোভাযাত্রায় প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গে একজন করে পুলিশ আধিকারিক থাকবেন বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। গাড়িগুলোকে কেপি রোড ধরে বিসর্জনের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটির সদস্যরা সকাল ১১টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করবেন। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৪টায়।
একনজরে পুজো কার্নিভাল:-
শনিবার পুজো কার্নিভাল।
সকাল ১১টার মধ্যে ক্লাবগুলোকে রিপোর্টিং করতে হবে।
প্রতিটি ক্লাব তিনটি করে ট্যাবলো রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি ক্লাব পাবে তিন মিনিট সময়।
গাড়ি-সহ প্রতিমার উচ্চতা থাকবে ১৬ ফুটের মধ্যে।
ঢাকি-সহ প্রতিটি ক্লাবের সঙ্গে থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ৫০ জন।
এই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার আলাদাভাবে বৈঠক করেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সেই প্রস্তুতি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গোটা অনুষ্ঠানপর্ব শুরু হবে কলকাতা পুলিশের 'ডেয়ার ডেভিল' বাহিনীর স্টান্ট দিয়ে। এরপর ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তিনি চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। ফলে, তাঁর অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন- শোকের মধ্যে উৎসব নয়, হড়পা বান-কাণ্ডে পুজো কার্নিভাল বাতিল জলপাইগুড়িতে
তবে, কার্নিভালে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের সব দূতাবাসের আধিকারিকদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বণিকসভার সদস্যদেরও। গোটা ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রেড রোডে ২,৫০০ পুলিশকর্মী ও ১,২০০ পুরকর্মীকেও মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেসব নিয়ে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে সমস্ত থানার ওসি ও পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার, সদর শুভঙ্কর সরকার।