রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল হল৷ ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন এক জনস্বার্থ মামলাকারী৷ একতরফাভাবে কোনও শুনানি আটকাতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন জনস্বার্থ মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। উল্লেখ্য, বঙ্গে ভোট পরবর্তী অশান্তির তদন্ত করবে সিবিআই৷ তবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে তিন সদস্যের সিট৷ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে হবে সিটের তদন্ত৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার৷ যদিও এব্যাপারে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানানো হয়নি৷
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে বিরোধীদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ সেই রিপোর্টে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার দায় শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের একাংশের ঘাড়ে চাপিয়েছে মানবাধিকার কমিশন৷ যদিও কমিশনের ওই দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলার অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ কমিশনের রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও তোপ দেগেছে রাজ্যের শাসকদল৷
আরও পড়ুন- জাতীয় পতাকা হাতে জমায়েত, কয়েকজনকে গুলি করে মারল তালিবান
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, ‘‘HC order নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRC-র রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে HC নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করছি না।’’ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও জানিয়েছেন এই রায়ের বিরুদ্ধে চাইলে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন