রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের তদন্তে নেমে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে গেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। অভিজিৎ খুনে ধৃত ৫ জন রয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। ধৃতদের জেরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। ধৃতদের জেরা করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ সিবিআই দলের। এদিকে, নদিয়ার চাপড়ায় বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআইকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার জেরেই জোরদার তৎপরতার সঙ্গে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে সিবিআই দল। ভোটের পর থেকে চলা রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত ও আহতের বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হিংসা সম্পর্কে বিস্তারিত অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। এমনকী কোনও কোনও জায়গায় ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেও তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানের নতুন সরকারের মাথায় কে? স্পষ্ট করল তালিবান
কলকাতার কাঁকুরগাছিতে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি অভিজিৎ সরকার নামে এক যুবক। ইতিমধ্যেই অভিজিতের পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁদের বয়ান লিপিবদ্ধ করেছে সিবিআই। অভিজিৎ খুনে ধৃত পাঁচজন এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সে জেলে বন্দি রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের জেরা করা জরুরি বলে শিয়ালদহ আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। জেলে গিয়ে যাতে ওই পাঁচজনকে জেরা করা যায়, সেব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করায় প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল, সেই প্রসঙ্গেই ধৃত পাঁচজনকে জেরা গোয়েন্দাদের।
এদিকে, নদিয়ার চাপড়ায় বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় আগেই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও দুজনের খোঁজ চলছিল। কৃষ্ণনগর আদালতে অভিযুক্ত ওই দুজনও আত্মসমর্পণ করেছেন। ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন