ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল গোটা বাংলা। বাদ যায়নি কলকাতায়। অভিযোগ, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত হয়েছিলেন কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পলাতক পাঁচ অভিযুক্তের এক একজনের খোঁজ দিতে পারলে সিবিআইয়ের তরফে মিলবে ৫০ হাজার টাকা করে।
সম্প্রতি শিয়াল আদলতের নির্দেশ মোতাবেক বিজেপি কর্মী হত্যার ঘটনায় পলাতক পাঁচ অভিযুক্তের (অমিত দাস, টুম্পা দাস, অরূপ দাস, সঞ্জয় বারিক ও পাপিয়া বারিক) ছবি, নাম ও ঠিকানা সহ পুরস্কারের ঘোষণা করেছে সিবিআই। জানানো হয়েছে, যে এদের খোঁজ দেবেন তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
২ মে ভোট গণনার দিন সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে শারীরিক অত্যাচার করা হয়। অভিযোগ, অভিজিৎকে গলার তার জড়িয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে তাঁর উপর অত্যাচার ও কুকুরদের মারধরের জন্য রাজ্যের শাসক দলকে দায়ী করে সে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরই অভিজিতের বাড়ির লোকের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে তদন্তকারীদের।
তদন্তে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম উঠে আসা অনেকেই বাড়িতে নেই বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।
তাঁদের খোঁজ মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে ধরতে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করল সিবিআই। উল্লেখ্য, এই মামলায় ২০ জনের নামে গত সেপ্টেম্বরে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর অক্টোবর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে খোঁজ চলছে।
এদিন সিবিআইয়ের ঘোষণার পরই মৃত্যুর আগে করা অভিজিতের ফেসবুক লাইভ তুলে ধরে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য। লিখেছেন, 'মৃত্যুর কিছু আগে করা অভিজিত সরকারের ফেসবুক লাইভে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপণ সমাদ্দার ও বেলেঘাটর বিধায়ক পরেশ পালের কথা বলা হয়েছে। ওঁরাই উত্তেজিত জনতাকে অভিজিতের বাড়ি-ঘর ভাঙতে, কুকুরকে মারতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নারকেলডাঙ্গা থানার পুলিশের সামনে।। মমতা ব্য়ানার্জী এদের সরকলেই ভালো করে চেনেন।'
নিহত অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেছেন, 'সিবিআই অভিযুক্তদের ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভালো কথা। কিন্তু স্বপ সম্মাদার ও পরেশ পালের বিরুদ্ধে সিবিআই কী পদক্ষেপ করল? ওদেরও শাস্তি হলে খুশি হব।'