বাড়ির মালিকানা বদলাতে গেলে আর এমাথা-ওমাথা দৌড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে। বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বাড়ির মিউটেশন চালু করল কলকাতা পুরসভা। কিছুদিন আগে পুরসভার উদ্যোগে 'টক টু মেয়র' পরিষেবা চালু করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। যেখানে নিজেদের এলাকা সম্পর্কিত সমস্ত অভাব অভিযোগ সরাসরি জানানো যাবে মেয়রকে। এই নয়া উদ্যোগের সাফল্যর পর নাগরিক পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে এবার চালু হলো অনলাইন মিউটেশন প্রক্রিয়া। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে মিউটেশন সম্পর্কিত পদ্ধতিগত যে হয়রানি পোহাতে হত শহরের নাগরিকদের, তা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন তাঁরা।
অনলাইন মিউটেশনের ক্ষেত্রে যদি বাড়ির মালিকের দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের রেজিস্টার্ড নম্বরে ফোন বা এসএমএস করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবহিত করবেন।
আরও পড়ুন, যানজটে নিত্য নাকাল শিলিগুড়ি, সমাধানের আশায় দিল্লির দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ
নয়া এই অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, "আইটি বিভাগ অনলাইন মিউটেশন প্রক্রিয়াটির জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যদি কোনও বাড়ির মালিক তাঁর বাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেন এবং তা যদি আমাদের কর্মকর্তা দ্বারা গৃহীত হয়, আমরা অনলাইনে শংসাপত্র প্রদান করব। সেটি খুব সহজেই সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন আবেদনকারী। মিউটেশন সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বারবার তাঁকে পুরসভায় আসতে হবে না"।
পুরসভার কর্মকর্তাদের থেকে একথাও জানা যাচ্ছে যে বৃহস্পতিবার থেকে পুরসভার প্রধান অফিসে ট্যাক্স জমা দেওয়ার জন্য একটি কাউন্টার থাকবে, কোনও দালাল অথবা মধ্যস্থতাকারীর সাহায্য ছাড়াই যেখানে এসে বাড়ির মালিকেরা নিজেরাই তাঁদের বাড়ির ট্যাক্স জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন, কাঁচিতে কাটল সদ্যজাতর বুড়ো আঙুলের ডগা, অভিযুক্ত জুনিয়ার ডাক্তার
ট্যাক্স জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে ব্রোকারদের জন্যও একটি কাউন্টার রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে বাড়ির মালিক বিনা তৃতীয় কোনও ব্যক্তি এসেও ট্যাক্স জমা দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তিকে একটি টোকেন নম্বর দেওয়া হবে। টোকেন নম্বরটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হলে কাউন্টারে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং ফি জমা দিতে হবে।
এছাড়াও যেসব বাড়ির মিউটেশন এখনও বাকি আছে তা সম্পূর্ণ করার জন্য একটি শিবিরের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা। আগামী ৩ অগাস্ট থেকে পঞ্চসায়রে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে অবস্থিত একটি হাউসিং কমপ্লেক্সে এমনই একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। পুরসভার এক কর্মকর্তার কথায়, "বিভিন্ন আইনি জটিলতা, হেরিটেজ সমস্যা এবং আরও আনুষঙ্গিক কারণে প্রায় ৬০টি মিউটেশনের আবেদন এখনও মুলতুবি রয়েছে। শহরের বেশ কিছু আবাসনের মিউটেশনের আবেদনপত্রও এখনও বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।"
Read the full story in English