বৃহস্পতিবার প্রত্যাশিতভাবেই বানতলায় একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলান্যাস করলেন মেগা লেদার ক্লাস্টারের। পাশাপাশি এদিন বানতলা চর্মনগরীর নতুন নামকরণও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আজ থেকে এই নবদিগন্তের নাম দিলাম কর্মদিগন্ত। এই জায়গাটার কথা অনেক মানুষই জানতেন না। ৯৮ শতাংশ ব্যাগ এখান থেকেই তৈরি হয়। কলকাতার এতো কাছে এই জায়গাটাকে আমরা আস্তে আস্তে উন্নয়ন করছি। রাস্তাঘাট, পুলিশ স্টেশন, ফায়ার ব্রিগেড সব আস্তে আস্তে করা হচ্ছে। পৃথিবীর বৃহত্তম কর্মসংস্থান এই জায়গা থেকেই হবে।"
এদিন একাধিক প্রকল্প এবং অর্থলগ্নির আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রাজ্যের চর্মশিল্পে বিপুল সম্ভাবনা থাকায় পরিকাঠামো-সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। গোটা বিশ্বে যাতে বানতলার শিল্পজাত দ্রব্য ব্যবসা করতে পারে সে জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই মেগা লেদার ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রকল্পের শিলান্যাস করে তেমনটাই জানান মমতা। তিনি বলেন, "এখানে ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ৮০,০০০ কোটি টাকার লগ্নি আসবে। এশিয়ার বৃহত্তম চর্মশিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠছে বানতলাতেই।"
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের পর এসএসসি চাকুরীপ্রার্থীদের সমাধানের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
চর্ম কারখানা তৈরি করার জন্য কানপুর এবং এ রাজ্যের ১৮৭ জন ব্যবসায়ীকে জমি হস্তান্তর করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চর্মশিল্পকে পরিবেশ বান্ধব রূপে গড়ে তোলার জন্য চামড়া পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথাও বলেন তিনি, এবং চামড়া বিপণিতে কলকাতাকে আগামীদিনে পৃথিবীর বৃহত্তম বাজার করে তোলার আশ্বাসও দেন। নাম না করে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সারা ভারতবর্ষে যেখানে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে, সেখানে বাংলায় বেকারত্ব কমে গেছে ৪০ শতাংশ।"
বানতলায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, "এখানে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অফিস রয়েছে। আগামী দিনে সেগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হবে।" যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করার জন্য বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।