দুপুর হলেই তাকে খাওয়াতে যেতেন ঘরের কর্তা। মধ্যাহ্নভোজ খাওয়াতে খাওয়াতে আদরও করে দিতেন তাকে। গৃহকর্তার আদর-যত্নে ভালই দিন কাটছিল তার। কিন্তু হঠাৎই খেপে গেল সে। এত রাগ যে, সেই কর্তারই হাত চেপে ধরল। তারপর? হাত ছাড়াতে গিয়ে বাঁ হাতের নখ উপড়ে গেল কর্তার। আর এ ঘটনায় তাজ্জব সকলে। যাঁর কীর্তিতে এমন ঘটনা ঘটল, তিনি আলিপুর চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিবাবু। আর যাঁর উপর এই শিম্পাঞ্জিবাবু রুষ্ট হলেন, তিনি আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত। কিন্তু কী এমন ঘটল যে, শিম্পাঞ্জির রোষে রক্তপাত হল অধিকর্তার, এই প্রশ্নেই তোলপাড় চিড়িয়াখানা পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছে?
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত বলেন, ‘‘রোজই দুপুরে শিম্পাঞ্জিকে খাওয়াই। কালও খাওয়াতে গিয়েছিলাম। প্রথমে বাচ্চাগুলোকে খাওয়াই। এরপরই বড় শিম্পাঞ্জিকে খাওয়াই। হঠাৎ আমার হাতটা চেপে ধরে। ছাড়াতে গেলে আমার বাঁ হাতের আঙুলের নখ উপড়ে যায়। চিকিৎসা করেছি, ভাল আছি এখন’’। কিন্তু কেন শিম্পাঞ্জিবাবুর এমন আচরণ, তা বোধগম্য হচ্ছে না অধিকর্তার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘এতদিন খাওয়াচ্ছি, কিছু হয়নি। ও আমাকে ভাল করে চেনে। জানি না কেন ও এমন আচরণ করল’’।
আরও পড়ুন: ‘নোবেলজয়ী অভিষেকবাবু’, মমতার মন্তব্যে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
তবে আঘাত পেয়েও শিম্পাঞ্জিবাবুকে ‘বকাবকি’ করতে নারাজ অধিকর্তা। তাঁর কথায়, ‘‘ঠিক আছে, একটা ঘটনা ঘটেছে। সামান্য আঘাত পেয়েছি। কোনও ব্যাপার নয়’’। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, ওই শিম্পাঞ্জিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। কেন এমন আচরণ করল ওই শিম্পাঞ্জি, সে ব্যাপারে তার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে খবর।