প্রথা মেনেই এবারেও পুজো উদ্বোধনে ফার্স্ট বয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং। তাদের চলতি বছরের ভাবনা বুর্জ খলিফা। একটুকরো দুবাইকে কলকাতা শহরতলিতে ফুটিয়ে তুলেছে মন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজো। তাই উৎসাহী জনতা দ্বিতীয়া থেকেই নেমেছেন পথে। সেই জনতার স্রোত পঞ্চমী পেরিয়ে ষষ্ঠীতেও সমান জোয়ারে ভরা। বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা হলেও, উৎসাহে ভাঁটা নেই। সেভাবেই নেই করোনা বিধি মানার বালাই। মায়ের বোধনের দিনেও একাধিক প্যান্ডেলে মাস্কহীন মানুষের আনাগোনা। কারও আবার থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক। প্রশাসনিক পরামর্শ, কেন্দ্রের সতর্কবার্তা কিংবা হাইকোর্টের নির্দেশ। কোনও কিছুকেই গ্রাহ্য করতে চাইছে না ঠাকুর দেখতে প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ভিড় করা জনতা।
Advertisment
এদিন সকালে উত্তর কলকাতার এক জনপ্রিয় পুজোর বাইরে মাস্কহীন এক জনতাকে ধরতেই তাঁর বক্তব্য, ‘পুরো প্যান্ডেলটা মাস্ক পরেই ঘুরলাম। বাইরে এসে মাস্ক খুলে একটু বাতাস নিচ্ছি। যা গরম!’ এরপর সেই প্যান্ডেলের এক উদ্যোক্তাকে মাস্কহীন জনতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর জবাব, ‘হাইকোর্টের বিধি মেনে প্যান্ডেলকে দর্শকশূন্য করেছি। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার কে মাস্ক পরছে না সেটা দেখা কী সম্ভব? তবে মাস্কহীন জনতার মুখে আমরা দায়িত্ব নিয়ে মাস্ক তুলে দিচ্ছি।‘
একই দৃশ্য দেখা গিয়েছ হাতিবাগানের এক পুজো মণ্ডপে। সেই মণ্ডপের বাইরে অপেক্ষামান এক জনতার মন্তব্য, ‘কতক্ষণ মুখে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখবো বলুন তো। এখন সেভাবে সংক্রমণ নেই। তাই কখনও মাস্ক পরে, কখনও মাস্ক খুলে ঠাকুর দেখছি।‘ কয়েকজন তো আবার ডবল ভ্যাকসিনের দোহাই দিয়ে মাস্ক না পরাকেই নিয়ম বলে দাবি করে বসেছেন।
অপরদিকে, উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের। আজ থেকেই কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নাইট সার্ভিস বাস। পঞ্চমী থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। পুজোর ক’দিনই এই পরিষেবা চালু থাকায় বাসে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রেও মিলবে ভরপুর সুবিধা। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাতের এই বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুজো উপলক্ষে আপাতত লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ফের চালু রাতের বাস সার্ভিস।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ১৪ টি রুটে মিলবে এই নাইট বাস সার্ভিস। রাত জেগে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে মিলবে দারুণ সুবিধা। রীতিমতো পরিকল্পনা করে রাতের এই বাস পরিষেবা ফের চালু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। আজ থেকে আগামী ১১ দিন ধরে এই পরিষেবা মিলবে শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাসত, ব্যারাকপুর, ডানলপ, কামালগাজি, গড়িয়া, বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে রাতের এই বাস। সহজেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বাসে চড়ার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। এছাড়াও হাওড়া-নিউটাউন, হাওড়া-করুণাময়ী, শ্যামবাজার-বারাসত, বেলগাছিয়া-এসপ্ল্যানেড রুটেও চলবে রাতের বাস।
পঞ্চমীর রাত থেকেই এবার পুরোদমে চালু হচ্ছে নাইট বাস সার্ভিস। তবে যাত্রী সংখ্যা বাড়লে ষষ্ঠী থেকে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে এবারও রাতভর মেট্রো সার্ভিস থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে-ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে জোর সমস্যায় পড়তে হতো দর্শনার্থীদের। এছাড়াও করোনাকালে এখনও রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও চালু হয়নি। সেই কারণেই যাত্রীদের সুবিধা দিতে উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
এখন করোনা নেই! তাই মাস্ক খুলেছি! শহরের একাধিক প্যান্ডেলে মাস্ক না পরার আজব যুক্তি
'পুরো প্যান্ডেলটা মাস্ক পরেই ঘুরলাম। বাইরে এসে মাস্ক খুলে একটু বাতাস নিচ্ছি। যা গরম!’
Follow Us
প্রথা মেনেই এবারেও পুজো উদ্বোধনে ফার্স্ট বয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং। তাদের চলতি বছরের ভাবনা বুর্জ খলিফা। একটুকরো দুবাইকে কলকাতা শহরতলিতে ফুটিয়ে তুলেছে মন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজো। তাই উৎসাহী জনতা দ্বিতীয়া থেকেই নেমেছেন পথে। সেই জনতার স্রোত পঞ্চমী পেরিয়ে ষষ্ঠীতেও সমান জোয়ারে ভরা। বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা হলেও, উৎসাহে ভাঁটা নেই। সেভাবেই নেই করোনা বিধি মানার বালাই। মায়ের বোধনের দিনেও একাধিক প্যান্ডেলে মাস্কহীন মানুষের আনাগোনা। কারও আবার থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক। প্রশাসনিক পরামর্শ, কেন্দ্রের সতর্কবার্তা কিংবা হাইকোর্টের নির্দেশ। কোনও কিছুকেই গ্রাহ্য করতে চাইছে না ঠাকুর দেখতে প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ভিড় করা জনতা।
এদিন সকালে উত্তর কলকাতার এক জনপ্রিয় পুজোর বাইরে মাস্কহীন এক জনতাকে ধরতেই তাঁর বক্তব্য, ‘পুরো প্যান্ডেলটা মাস্ক পরেই ঘুরলাম। বাইরে এসে মাস্ক খুলে একটু বাতাস নিচ্ছি। যা গরম!’ এরপর সেই প্যান্ডেলের এক উদ্যোক্তাকে মাস্কহীন জনতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর জবাব, ‘হাইকোর্টের বিধি মেনে প্যান্ডেলকে দর্শকশূন্য করেছি। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার কে মাস্ক পরছে না সেটা দেখা কী সম্ভব? তবে মাস্কহীন জনতার মুখে আমরা দায়িত্ব নিয়ে মাস্ক তুলে দিচ্ছি।‘
একই দৃশ্য দেখা গিয়েছ হাতিবাগানের এক পুজো মণ্ডপে। সেই মণ্ডপের বাইরে অপেক্ষামান এক জনতার মন্তব্য, ‘কতক্ষণ মুখে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখবো বলুন তো। এখন সেভাবে সংক্রমণ নেই। তাই কখনও মাস্ক পরে, কখনও মাস্ক খুলে ঠাকুর দেখছি।‘ কয়েকজন তো আবার ডবল ভ্যাকসিনের দোহাই দিয়ে মাস্ক না পরাকেই নিয়ম বলে দাবি করে বসেছেন।
অপরদিকে, উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের। আজ থেকেই কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নাইট সার্ভিস বাস। পঞ্চমী থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। পুজোর ক’দিনই এই পরিষেবা চালু থাকায় বাসে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রেও মিলবে ভরপুর সুবিধা। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাতের এই বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুজো উপলক্ষে আপাতত লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ফের চালু রাতের বাস সার্ভিস।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ১৪ টি রুটে মিলবে এই নাইট বাস সার্ভিস। রাত জেগে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে মিলবে দারুণ সুবিধা। রীতিমতো পরিকল্পনা করে রাতের এই বাস পরিষেবা ফের চালু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। আজ থেকে আগামী ১১ দিন ধরে এই পরিষেবা মিলবে শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাসত, ব্যারাকপুর, ডানলপ, কামালগাজি, গড়িয়া, বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে রাতের এই বাস। সহজেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বাসে চড়ার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। এছাড়াও হাওড়া-নিউটাউন, হাওড়া-করুণাময়ী, শ্যামবাজার-বারাসত, বেলগাছিয়া-এসপ্ল্যানেড রুটেও চলবে রাতের বাস।
পঞ্চমীর রাত থেকেই এবার পুরোদমে চালু হচ্ছে নাইট বাস সার্ভিস। তবে যাত্রী সংখ্যা বাড়লে ষষ্ঠী থেকে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জেরে এবারও রাতভর মেট্রো সার্ভিস থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে-ঘুরে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে জোর সমস্যায় পড়তে হতো দর্শনার্থীদের। এছাড়াও করোনাকালে এখনও রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও চালু হয়নি। সেই কারণেই যাত্রীদের সুবিধা দিতে উৎসবের উপহার রাজ্য পরিবহণ দফতরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন