Bengal Civic Poll: দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও, দুই পুরনিগমের ভোট আয়োজনে বিজ্ঞপ্তি এখনই নয়। পুরভোট নিয়ে মামলা বিচারাধীন থাকায় এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টকে জানাল কমিশন। ফলে ফের একবার বিশ বাঁও জলে পুর ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামি ২৪ নভেম্বর। সেদিন পুরভোট আয়োজনে রাজ্য এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামি ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা এবং হাওড়া পুরনিগমের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু একসঙ্গে সব পুরসভার ভোট চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। প্রধান বিচারপতির এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার।
এর আগে ১২ নভেম্বর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি-সহ একাধিক পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে কমিশন। করোনা আবহকে মাথায় রেখে সুষ্ঠু ভোট নির্বাচন নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের প্রস্তাব গ্রহণ করেই ১৯ ডিসেম্বর দুই পুরনিগমে ভোট করতে সম্মতি দেয় কমিশন। সেই মোতাবেক নোটিফিকেশন পাঠানো হয় পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরে।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ভোট হবে। তবে, হাওড়ার ৬৬টিতে নয়, ভোট করা হতে পারে ৫০টিতে। পূর্বের বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়ার পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এবার বালি পুরসভার ওই ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভা থেকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই ভোট হতে পারে অবশিষ্ট ৫০টি ওয়ার্ডে।
এদিকে, কলকাতা পুরনিগমের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত। তাই ভোট প্রক্রিয়া ঘোষণার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলা শাসকদের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছিল।
করোনা সংক্রমণ, একুশের ভোট ও উপনির্বাচনের কারণে পুর এলাকায় উন্নয়নের কাজ ব্যহত হয়। ঠিক হয়েছিল আগামী ২৫ নভেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। ভোট গণনার দিন ২২ ডিসেম্বর করতে চায় কমিশন। কিন্তু পুরো বিষয়ের জল আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় ফের ঝুলে রইল ভোট ভবিষ্যৎ। অনিশ্চিত হয়ে পড়ল নাগরিক পরিষেবা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন