ডিওয়াইএফআই কর্মী মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার আবস্থা মৌলালির। পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বাম ছাত্র-যুবদের বিরুদ্ধে। ধস্তাধস্তিতে পুলিশের উর্দি ছিঁড়ে যায়। দৌড়ে পালিয়ে কোনও মতে রক্ষা পান পুলিশ কর্মী। পরে এপিসি রোডের মোলালিমুখী রাস্তায় বসে পড়েন বাম ছাত্র-যুবরা। ফলে মধ্য কলকাতাজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন- ‘আমারও দুঃখ হয়েছে’, মৃত বাম কর্মীর পরিবারকে চাকরির আশ্বাস মমতার
নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া বাঁকুড়ার কোতলপুরের ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয়েছে। বামেদের অভিযোগ পুলিশের লাঠির ঘায়েই মৃত্যু হয়েছে জখম মইদুলের। সকালেই দেহের ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। সহকর্মীর দেহ মৌলালিতে সংগঠনের দফতরে পৌঁছনোর অপেক্ষা করছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা। কিন্তু কেন এত দেরি হচ্ছে তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। ফলে মৌলালির ডিওয়াইএফআই দফতরে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশদের দখেই বাম ছাত্র-যুবদের উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাত, মৃত্যু CPIM-এর যুব নেতার
এরপরই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র-যুবরা। অভিযোগ, ডিওয়াইএফআই কর্মীরা বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশকে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মৌলালিতে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার ব্যস্ততম ওই এলাকা। কোনও মতে দৌড়ে পালান ওই পুলিশ কর্মী। বাম ছাত্র যুব সংগঠনের অবশ্য দাবি, পুলিশ তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ময়না তদন্তে দেরি হওয়ায় এদিন পুলিশ মর্গের সামনেও উত্তেজনা দেখা যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন